শিরোনাম
রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

নীলফামারীতে পাটের আবাদ বেড়েছে

আবদুল বারী, নীলফামারী

নীলফামারীতে পাটের আবাদ বেড়েছে

নীলফামারী জেলায় পাটের আবাদ বেড়েছে। কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে পাঠ চাষে। কৃষি বিভাগ সূত্রমতে, জেলার ছয় উপজেলায় এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৮৪৫ বেল (প্রতি বেল ৫ মণ)। ওই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাটের আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের ওই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ। জেলায় দেশি ও তোষা জাতের পাটের আবাদ হয়ে থাকে। দেশি জাতের পাট প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ বেল এবং তোষা জাতের পাট প্রতি হেক্টরে ১১ বেল উৎপাদন হয়। বালি মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে পাটের আবাদ হয়। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ আবাদি জমির মাটি দোআঁশ এবং বেলে দোআঁশ হওয়ায় পাট চাষের উপযোগী। উৎপাদিত পাটের আঁশ উন্নতমানের হওয়ায় বিভিন্ন বাজারে এ পাটের চাহিদা রয়েছে। গত বছর জেলায় ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৬ বেল পাট উৎপাদন হয়েছিল। ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক হিরম্ব কুমার রায় বলেন, পাটের আবাদ একবারে ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন চাহিদা দেখা দেওয়ায় এ বছর এক বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। সঠিক দাম পাওয়া গেলে আগামীতে আরও বেশি আবাদ করব। জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলী বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করে দাম পাওয়ায় এবার তিন বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। আগামীতে আরও বেশি আবাদের আশা করছি। পাট ব্যবসায়ী আশরাফ আলী বলেন, আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ অঞ্চলের পাটের চাহিদা ছিল। এ কারণে এক সময়ে ডোমার, চিলাহাটি, মিরজাগঞ্জ ও নীলফামারীতে বড় বড় ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের ব্যস্ত সময় কাটত। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, গত বছর বাজারে প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পেরেছে কৃষক। এবারও প্রতি মণ ২ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কেবলমাত্র বেলে মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে পাটের আবাদ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। সে হিসেবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় অন্য ফসলের চেয়ে পাট চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর