রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাদারীপুরে কলেজ ছাত্রী, রাজশাহীতে শিশু ধর্ষিত

প্রতিদিন ডেস্ক

মাদারীপুরের কালকিনি এবং রাজশাহীর কাজলায় ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের স্বজনদের আটক করেছে। এর মধ্যে কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের মা ও বাবাকে এবং কাজলায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের মাকে আটক করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

মাদারীপুর : মাদারীপুরের কালকিনিতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। গতকাল বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রীর বাড়ি গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকায়। পরে পুলিশ প্রধান ধর্ষকের বাবা-মাকে আটক করেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জনা গেছে, এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে খাঞ্জাপুর গ্রামের রাজ্জাক আকনের ছেলে রিফাত আকনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর সূত্র ধরে রিফাত বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীকে কালকিনি উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের একটি নির্জন বাগানে বেড়াতে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে চেতনানাশক ওষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে রিফাত আকনসহ তার ৪-৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রিফাত আকন তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রিফাত আকনের বাবা রাজ্জাক আকন ও তার মা রেহেনা বেগম ঘটনা জানতে হাসপাতালে গেলে কালকিনি থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার এএসআই শাহ আলম বলেন, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় রিফাত আকনকে না পেয়ে তার বাবা-মাকে আটক করেছি। মাদারীপুর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, অসুস্থ অবস্থায় কলেজছাত্রীকে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে কথা বলতে পারছে না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন কাজলায় আড়াই বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে এক কিশোর। গতকাল দুপুরে কাজলার অক্ট্রোর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য দুপুরেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষক মামুনুর রশীদ শান্ত পলাতক রয়েছে। তবে তার মাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নগরীর অক্ট্রোর মোড়ে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন শিশুটির পরিবার ও ধর্ষকের মা সুনাধান। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানা গেছে, ধর্ষক শান্তর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, শিশুটির চিকিৎসা চলছে। সে এখন শঙ্কামুক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকের মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ধর্ষক ও তার বাবা সাইফুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর