সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

১৩২ খাদ্যপণ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় কেমিক্যাল

ডিসিসিআইর গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের কৃষি খাত ক্রমশ উন্নতি লাভ করলেও নিরাপদ এবং ভেজালমুক্ত শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য পাওয়া এখন উৎকণ্ঠার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই। সংগঠনটি সরকারের একটি জরিপের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে বলেছে, ২০১৬ সালের জুন মাসে ৫২৪টি খাদ্যপণ্যের মধ্যে ১৩২টিতে অতিরিক্ত মাত্রায় কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে। সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি গঠন করেছে। এখন জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আইন কার্যকর সরকারকেই করতে হবে। গতকাল মতিঝিলে চেম্বার ভবনে ডিসিসিআই ও ইউএসএআইডির এগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রজেক্ট যৌথভাবে আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ ও নীতিমালা কার্যকর’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী নেতারা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডিসিসিআই পরিচালক প্রকৌশলী আকবর হাকিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মো. মজিবুল হক। আরও বক্তব্য দেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ রহিম, অধ্যাপক মো. আবুল হাসেন, ডিসিসিআই সাবেক সহসভাপতি এম আবু হোরায়রাহ ও শোয়েব চৌধুরী, মহাসচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির, পরিচালক ইমরান আহমেদ, সাবেক পরিচালক আবদুস সালাম ও আবদুল আজিজ সরকার, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহমেদ একরাম উল্লাহ প্রমুখ।

ওই গোলটেবিল বৈঠকে প্রকৌশলী আকবর হাকিম বলেন, বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ লোক কৃষি কাজে জড়িত। কর্সসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান প্রায় ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

শোয়েব চৌধুরী বলেন, আমাদের কৃষিপণ্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে। তবে সময় এসেছে ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে আমাদের কৃষিপণ্য রপ্তানির বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার। মজিবুল হক বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদনের বহুমুখীকরণ, অবকাঠামো ও বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন অপরিহার্য।  নিয়াজ রহিম বলেন, উন্নত যাতায়াত ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের প্রায় ৩৫ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর