সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
বনানীতে ছাত্রী ধর্ষণ

আবার পেছাল সাক্ষ্য গ্রহণ

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ফের পিছিয়েছে। গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য তারিখে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজম নতুন করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। সময়ের আবেদনে বলা হয়, এ মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। তাই সময় দেওয়া হোক। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে ২৪ জুলাই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল কিন্তু সেদিনও হয়নি। গতকাল মামলার পাঁচ আসামি আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ই-মেকার্সের কর্মকর্তা আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ, ঢাকার পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি সাফাতের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়। গ্রেফতারের পর আসামি গাড়িচালক বিল্লাল ছাড়া বাকি চারজনই নিজেদের দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে ঘটনা তদন্ত করে ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার পর বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে আসামি সাফাত আহমেদ ও বাদীর বান্ধবীকে আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন এবং বাকি তিনজন তাদের সহযোগিতা করেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর