নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের দুই শিশুসহ পাঁচজনকে হত্যার একমাত্র আসামি ভাগ্নে মাহফুজকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। জেলা ও দায়রা জজ বেগম হোসনে আরা আকতার গতকাল চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, পাঁচজনকে একাই হত্যা করেন মাহফুজ। ৩০ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মাহফুজকে একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাদী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই।’ শহরের বাবুরাইল এলাকার একটি বাড়ি থেকে ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোট ভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। আসামি ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহান। রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন গ্রেফতার করা হয় মাহফুজ ও নাজমাকে। মাহফুজ ২১ জানুয়ারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে লোমহর্ষক হত্যার বর্ণনা। মামি তাসলিমাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় শালিসে তাকে জুতাপেটা করা হয়। এর প্রতিশোধ নিতেই তিনি শিলপাটা দিয়ে ও শ্বাসরোধে একে একে সবাইকে হত্যা করেন।