বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
পর্যটন

পর্যটন কেন্দ্রের আদল পাচ্ছে আত্রাইয়ের গান্ধী আশ্রম

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

পর্যটন কেন্দ্রের আদল পাচ্ছে আত্রাইয়ের গান্ধী আশ্রম

নওগাঁর আত্রাইয়ে মহাত্মাগান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত গান্ধী আশ্রম দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রের আদল পেতে চলেছে। অবহেলিত এ আশ্রমের উন্নয়নকাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কাজ শেষ হলে ইংরেজবিরোধী আন্দোলনের পথিকৃত, অসহিংস ব্যক্তিত্ব, ভারতবর্ষের জনপ্রিয় নেতা মহাত্মাগান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত এ আশ্রম হয়ে উঠবে দর্শনীয় স্থান। জানা গেছে, উন্নয়ন কাজ শুরু করায় এ আশ্রম এলাকা এখন আর আগের মতো নেই। দূর হয়েছে ভুতুড়ে পরিবেশ। নেই দখলদারিত্বের কালো থাবাও। এরই মধ্যে ভারতীয় অর্থায়নে এখানে মহাত্মাগান্ধী ও পিসি রায় মেমোরিয়াল হল গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এই একতলা ভবনকে দ্বিতীয় তলায় উন্নীত করা হচ্ছে। গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সেই গুদাম ঘরটিও সংস্কার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নওগাঁ জেলা পরিষদের অর্থায়নে সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল ও দৃষ্টিনন্দন একটি গেট নির্মাণ করা হয়েছে। আত্রাই গান্ধী আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক জেনারেল ডা. নিরঞ্জন কুমার দাস বলেন, এক সময় গান্ধী আশ্রমের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় এমপি ইসরাফিল আলম ও উপদেষ্টা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমানের হস্তক্ষেপে এবং ভারতীয় অর্থায়নে এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘মহাত্মাগান্ধী ও পিসি রায় মেমোরিয়াল হল’। এ ছাড়াও এখানে প্রতি বছর আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় গান্ধীর জন্মোৎসব। এখানে স্থাপন করা হয়েছে আত্রাই ডায়াবেটিস সমিতি, যেখান থেকে প্রতি শুক্রবার এলাকার অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগী প্রথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। গান্ধী আশ্রমের সভাপতি অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, গান্ধী আশ্রমের কাজ অনেকটা এগিয়েছে। এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ দাতব্য চিকিৎসালয়, কৃষি খামার, মৎস্য খামারসহ বেশ কিছু স্থাপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু এ গান্ধী আশ্রম উপজেলা সদরের একেবারেই সন্নিকটে, রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এবং মনোরম পরিবেশে তাই এখানে স্থাপনাগুলো নির্মিত হলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে  এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, ভারতবর্ষের জনপ্রিয় নেতা মহাত্মাগান্ধীর স্মৃতিধন্য গান্ধী আশ্রম এখন আর অবহেলিত পল্লী নেই। উন্নয়নের ছোঁয়ায় একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হতে চলেছে। এখানে আধুনিক মডেলের ডাকবাংলো নির্মাণ, বিভিন্ন ভাস্কর্য নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

সর্বশেষ খবর