রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

জনপ্রিয় হচ্ছে ভাসমান বীজতলা ও সবজি চাষ

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

জনপ্রিয় হচ্ছে ভাসমান বীজতলা ও সবজি চাষ

কিশোরগঞ্জে কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভাসমান বেডে বীজতলা ও সবজি চাষ। বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে যেসব এলাকায় বীজতলা ও সবজি চাষ সম্ভব হয় না, সেসব  এলাকায় ভাসমান পদ্ধতি খুবই কার্যকর। জেলার ১০টি উপজেলায় এবার ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে নানা জাতের শাক সবজি ও বীজতলা। এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে এ পদ্ধতির চাষাবাদ। কচুরিপানা পচিয়ে পানির ওপর তৈরি করা হয় ভাসমান বেড। এ পদ্ধতিতে কোনো সার বা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। ফলে একদিকে যেমন বিষমুক্ত নিরাপদ শাক সবজি পাওয়া যায়, অন্যদিকে খরচও কম পড়ে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবারই প্রথম ভাসমান বেডে রোপা আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি বেড ১৫ মিটার লম্বা এবং ১ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থ। একটি বেডের চারা দিয়ে এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ধান চাষ করা যায়। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ভাষ্করখিলা গ্রামের কৃষক মো. ফয়েজউদ্দিন বলেন, ভাষ্করখিলা বিলে তিনি প্রায় তিন বছর ধরে ভাসমান বেডে শাক সবজির চাষ করে আসছেন। আর এবার শাক সবজির পাশাপাশি রোপা আমনের বীজতলাও তৈরি করেছেন ভাসমান বেডে। এক্ষেত্রে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ এবং কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তিনি। ভাসমান বেডে উৎপাদিত শাক সবজির ফলনও তাড়াতাড়ি হয় এবং এগুলো বিষমুক্ত হওয়ায় বিক্রি করে ভালো দামও পাওয়া যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় এবার ১৪৬টি ভাসমান বেডে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০টি। আর শাক সবজির চাষ করা হয়েছে ৪০টি বেডে। প্রতিটি বেডে দুই থেকে ১০টি ফসল ফলানো যায়। এক বছর চাষের পর এই বেড জমিতে সার হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। বন্যা বা আপদকালীন সময়ে ভাসমান বেড খুবই উপযোগী পদ্ধতি। কৃষকরা দিন দিনই এ পদ্ধতির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আগামীতে এ পদ্ধতি আরও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর