সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

তারেক-মিশুক স্মরণে চিত্রাঙ্কন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

তারেক-মিশুক স্মরণে চিত্রাঙ্কন

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে গতকাল চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠিত হয় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার বীভৎসতা তুলে ধরে স্মরণ করা হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে। গতকাল তাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধু-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা দিনভর এসব ছবি আঁকেন। মিশুক মুনীরের পরিবার এই চিত্রাঙ্কনের আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শামসুন নাহার হলের পাশের সড়কদ্বীপে নির্মিত ‘সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতি স্থাপনা’ ঘিরে ছবি আঁকেন শিল্পীরা। শিল্পীদের রং-তুলিতে ফুটে ওঠে সড়ক দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দৃশ্য। দুর্ঘটনা মানুষের মনে কী প্রভাব ফেলে, এমন বিমূর্ত বিষয়ও উঠে আসে এসব ছবিতে।

ছবি আঁকার সময় ঘুরে দেখেন নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান  চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কঠোর আইন ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কারণ সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের তিন বছরের সাজা রয়েছে। যেটা তারা একদমই গায়ে নেন না। তিনি বলেন, মানুষকে নিজে থেকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতন হতে হবে।  গতকাল যারা ছবি এঁকেছেন তারা কোনো না কোনোভাবে মিশুক মুনীরের সঙ্গে কাজ করেছেন, তার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তথ্যটি জানিয়ে মিশুক মুনীরের ভাই আসিফ মুনীর বলেন, ছবিগুলো কোনো প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিক্রি করে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যেসব সংগঠন কাজ করে তাদের দেওয়া হবে। এই ছবি আঁকার উদ্দেশ্য মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করা। ছবি আঁকার সময় আশপাশের অনেক মানুষ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে, গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনেকে জানবে। সচেতনতা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়। মিশুক মুনীরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা কাজী (মঞ্জুলি কাজী) বলেন, আমি এখানে আসতে চাই না। কিন্তু পরিবারের অন্যরা বলল, মিশুকের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পীরা বললেন, তাই আসতে হলো। তিনি বলেন, একটি দুর্ঘটনা বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারের স্বপ্নকে ভেঙে দেয়। এতে একটি দেশের ক্ষতি তো হয়ই, পরিবারের ক্ষতি হয় অনেক। প্রতি বছর ঈদ এলে মনে পড়ে, যে মানুষটাকে নিয়ে আনন্দ, সে নেই। মঞ্জুলি কাজী বলেন, যাত্রীদের সুস্থভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে চালকদের। তাদের নিজেদের পর্যাপ্ত রেস্ট নিতে হবে। সর্বোপরি সচেতনতা ছাড়া এসব দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ওইদিন নিহতদের স্মরণে ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও শামসুন নাহার হলের মাঝামাঝি এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর