সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

পুকুরে পাবদা চাষে আশার আলো

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

পুকুরে পাবদা চাষে আশার আলো

নদীর পাবদা এখন দিনাজপুরে পুকুরে চাষ করে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন আর আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন একজন মাছ চাষি। এ মাছ চাষ করে চার লাখ টাকার অধিক লাভ করবেন বলে জানান বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউপির ভগবতিপুরের মোয়াজ্জেম হোসেন।

দিনাজপুরে মাছের আকাল বারো মাস। ভোরের সূর্য আকাশে উঁকি মারতেই গ্রামাঞ্চলের ছোট-বড় হাটবাজার আর পাড়া-মহল্লায় জেলেদের  ‘মাছ নেবেন গো, মাছ!’— এরকমের হাঁকডাক আর শোনা যায় না। নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মাছে-ভাতে বাঙালি নামটিও মুছে যেতে বসেছে। উত্তরাঞ্চলে প্রায় বিলুপ্ত দেশীয় প্রজাতির মাছ। বর্ষাকালেও মাছের আকাল। নদী-নালা, পুকুর-ডোবা পানিতে ভরে গেছে। অথচ টেংরা, পুঁটিসহ দেশীয় জাতের মাছ পাওয়া খুবই দুষ্কর। আর পাবদা চোখেই পড়ে না। সবার কাছেই পাবদা অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু মাছ। তবে পুকুরে পাবদা মাছের সফল চাষ করায় আবার আশার আলো দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ। পাবদা মাছের চাহিদা স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের সর্বত্রই রয়েছে। জেলার বিরামপুরের কাটলা ইউপির ভগবতীপুর গ্রামের মাছ চাষি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, নওগাঁ জেলার আদমদীঘি হ্যাচারি থেকে মাছের পোনা এনেছি। ৭৬ শতাংশ পুকুরে গত ৩০ জুন মাছ ছেড়েছি। এ পুকুরে ৩২ হাজার পাবদা এবং ৫ হাজার টেংরা মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। চার মাস পর সেপ্টেম্বর মাসের শেষে এ মাছ বিক্রি করা যাবে। এক মাসে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মাছ চাষে পুকুর উপযোগী করে নেওয়া, মাছের খাদ্য, পোনাসহ চার মাসে যাবতীয় খরচ হবে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মতো। আর এই পুকুর থেকে মাছ বিক্রি করতে পারব কমপক্ষে ৮-৯ লাখ টাকার। আশা করছি এই পুকুর থেকে কমপক্ষে ২৫ মণ পাবদা মাছ বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা এবং টেংরা মাছে ৬০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর