বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বেহাল মহাসড়ক ঘরে ফেরায় দুশ্চিন্তা

ঢাকা-গাজীপুর-টাঙ্গাইল সিরাজগঞ্জ-বগুড়া

প্রতিদিন ডেস্ক

বেহাল মহাসড়ক ঘরে ফেরায় দুশ্চিন্তা

খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক। ছবিটি সিরাজগঞ্জ থেকে তোলা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

পবিত্র ঈদুল আজহা সমাগত। কিন্তু ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কারণ ঢাকা থেকে গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইল থেকে ময়মনসিংহ, কিংবা গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়া পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই করুণ। এসব রুটের অনেক স্থান আছে, যা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে মহাসড়কের অনেক স্থানে পিচ-কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর গর্তের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে। এক ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগছে তিন ঘণ্টা। কোথাও কোথাও এর চেয়েও বেশি। প্রয়োজন অনুযায়ী সড়ক-মহাসড়ক মেরামতে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগও আছে। এসব রুটের সড়ক-মহাসড়কের বেহাল চিত্র তুলে ধরেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা— গাজীপুর : অতিবৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর অংশে স্থানে স্থানে পিচ-কার্পেটিং উঠে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ ও গর্তে ইট দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালির মাধ্যমে সড়ক সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। জোড়াতালি দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। টানা বর্ষণে তা আবার উঠে সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে এ দুই রুটে যানবাহন চলছে অনেকটা হেলেদুলে। ফলে দুর্ভোগ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাস্তার বেহাল দশায় যানজট এখানে নিত্যসঙ্গী। আর এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঈদে বাড়ি ফেরা সাধারণ মানুষ। এর ওপর চলছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজ এবং গুরুত্বপূর্ণ দুটি পয়েন্টে ফ্লাইওভার নির্মাণ। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নির্বিঘ্ন চলাচল এখন স্বপ্ন। সড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে চন্দ্রা হয়ে কালিয়াকৈর পর্যন্ত স্থানে স্থানে খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখ টঙ্গী আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত গাড়ি যেন এগোয়ই না। অন্যদিকে ভোগড়া বাইপাস থেকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পর্যন্ত অন্তত ৪৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে দেখা যায় যানজট। এ রুটে গাড়ি থেমে থেমে এগোয়। অনেক যাত্রীকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ভোগড়া থেকে চন্দ্রা-কালিয়াকৈর যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগছে। অন্যদিকে একটু বৃষ্টিতেই টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে নেমে আসে ভয়াবহ পরিস্থিতি। পুরো সড়ক পানিতে একাকার হয়ে যায়। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ২০টি স্থানে ইউটার্নের সুযোগ রয়েছে। এসব ইউটার্নের কারণে যানজট লেগেই থাকছে। গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, সফিপুর বাজার, চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ, জোড়াপাম্প, ত্রিমোড়, হরীতকীতলা, খাড়াজোড়া, গোয়ালবাথান, সাহেববাজার এলাকায় খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব গর্তে ইট দিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে মহাসড়কটি সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মহাসড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বাসচালক মিনহাজ বলেন, মহাসড়ক খানাখন্দ ও গর্তে একাকার। এখানে গাড়ি চালানো দায়। যানজট আর ভাঙাচোরা রাস্তায় বিরক্তিতে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া যাতায়াতে সময়ও বেশি লাগছে। উত্তরবঙ্গের যাত্রী আবদুস সামাদ ও স্বপ্না আক্তার বলেন, রাস্তার যে অবস্থা ঈদে এবার বাড়ি যেতেই ভয় করছে। রংপুর যাওয়ার টিকিট কিনেছেন গার্মেন্ট শ্রমিক নাসির। তিনি বলেন, ‘গত ঈদে যানজটের কারণে ভোগড়া বাইপাস থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় পার হতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছিল। এবার যে কী হয় কে জানে!’ কোনাবাড়ী-নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. হোসেন সরকার বলেন, ‘আমরা সড়ক ও জনপথের সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি।’ টাঙ্গাইল : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩০টি জেলার ৯২ রুটের যানবাহন চলাচল করে থাকে। আর ঈদের সময় এ মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকে অন্য সময়ের দশ গুণ। এ সময় এই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে দুই ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লাগে ছয় ঘণ্টা। এবার এ আশঙ্কা আরও বেশি। কারণ টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের অনেক জায়গায় ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলছে। এ কারণে এই মহাসড়কে নিত্যদিনই যানজট থাকছে। এ মহাসড়কে চলাচলকারী বাসচালক তোফায়েল আহমেদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের অবস্থা খুব খারাপ। এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এর ওপর এ মহাসড়কে যানবহনের সংখ্যা বেশি। ফলে ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘গত ঈদে রাস্তার অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। ফলে পদক্ষেপ নিয়ে সফল হয়েছিলাম। এবার টানা বৃষ্টি ও মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর পরও জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়ক সচল রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’ সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের সড়ক-মহাসড়কগুলোর বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কগুলোতে ইট-খোয়া-পাথর-বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে সড়কগুলো সংস্কার করা না হলে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। প্রবল বর্ষণ আর সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতির কারণেই সড়কগুলোর এমন বেহাল দশা হয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। মহাসড়ক মেরামতে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ না করে তা নয়ছয় করা হয়েছে। এ অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মহাসড়ক মেরামতের কাজ শুরু করলেও তা চলছে ঢিমেতালে। ঈদের আগে মেরামত করা সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে জেলার সব আঞ্চলিক সড়কেরও বেহাল দশা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এখনো এগুলো মেরামতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিটুমিনসহ পাথরগুলো উঠে গেছে। রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্ত থেকে চাকা বাঁচাতে দ্রুতগতির যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় মহাসড়কের নলকা থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন ও পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগ ইট-মাটি দিয়ে গর্ত পূরণ করলেও বৃষ্টিতে আগের অবস্থায় ফিরে গেছে সড়ক। এ ছাড়া আঞ্চলিক সড়কের মধ্যে সদর-কড্ডার মোড়, সদর-নলকা, উল্লাপাড়া-মোহনপুর-উধুনিয়া, ভুঁইয়াগাতী-নিমগাছি-তাড়াশের করুণ দশা। সদর-কড্ডার মোড় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কিন্তু সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চালকসহ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ সদর-নলকা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে বগুড়াসহ প্রায় পাঁচ উপজেলার যানবাহন চলাচল করে। এ সড়কে বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মোহনপুর, উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসীসহ লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘ আট বছর ধরে বেহাল। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার মান্নান নগর থেকে তাড়াশ উপজেলা সদর ও রানীর হাট যাওয়ার একমাত্র রাস্তা মান্নান নগর-রানীর হাট। এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক গ্রামের লাখ লাখ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ছোট-বড় গর্ত ও ইট-খোয়া উঠে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাড়াশ উপজেলার সোহাগ ও রফিক বলেন, মান্নান নগর-রানীর হাটের রাস্তায় মাঝখানে যেন পুকুর সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তায় যানবাহনে চড়লে মনে হয় এটি এখনই উল্টে যাবে। মহাসড়কে চলাচলকারী ট্রাক ও বাসের চালক মুন্না রায়হান ও আবদুল হালিম জানান, মহাসড়কের খানাখন্দের কারণে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২০ কিলোমিটার রাস্তা যেতে চার-পাঁচ ঘণ্টা লেগে যায়। ঈদের আগে সড়ক মেরামত করা না হলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। বগুড়া : টানা বৃষ্টিতে গর্ত সৃষ্টি হয়ে ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে। বগুড়ার সীমানা সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে গাইবান্ধার কাছে রহবল পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটারের ২৫ কিলোমিটারেই বৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। এ কারণে চালকদের যেমন ভোগান্তি বেড়েছে, তেমনি সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা। সড়কের এই বেহাল দশা হলেও সড়ক বিভাগ বলছে, বৃষ্টি কমলে করা হবে সড়কের কাজ। বগুড়ার শুরুর সীমানা সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে শেষ সীমানা গাইবান্ধার কাছে রহবল পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার। এই সড়ক দিয়ে উত্তরের ১০ জেলার যানবাহন চলাচল করে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো হয়ে উঠছে মৃত্যুফাঁদ। মহাসড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে এসব ছোট-বড় গর্ত। সমস্যা সমাধানে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। সড়ক বিভাগ বলছে, এ মহাসড়কের প্রায় ২৫ কিলোমিটার ক্ষতি হয়ে আছে। ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। বৃষ্টি কমলে করা হবে কাজ। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা অংশে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের এ অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ রুটে চলাচলকারী চালকরা জানিয়েছেন, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলা এলাকা পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এ এলাকায় সড়কের বাঁক, রাস্তায় গর্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনায় শিকার হতে হচ্ছে। এ মহাসড়কের চলাচলকারী যাত্রীরা যানজটে নাকাল। ঠিক সময়ে ঢাকায় যাচ্ছে না কাঁচা সবজি। মহাসড়কে একটু পর পরই ছোট-বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা চরম খারাপ রূপ নেয়। এরই মধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা সমাগত। এ মহাসড়কে চলাচলকারী ঈদে ঘরমুখো মানুষ চরম শঙ্কিত। তারা মনে করেন, সরকার দ্রুত মহাসড়ক মেরামতের স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে ঈদে বাড়ি ফেরা কঠিন হয়ে পড়বে। সড়কের বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়ার সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘একটি প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছেন। বর্ষা শেষ হলে কাজ শুরু করা হবে। আপাতত ইট ও পাথর দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে যত সিলই করা হোক এর কোনো স্থায়িত্ব নেই। এর পরও আমরা চেষ্টা করছি গর্তগুলো পূরণ করে দিতে। রংপুর, গাইবান্ধা ও বগুড়া মিলে প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতি হয়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক মেরামতে ঠিকাদার নিয়োগ প্রায় চূড়ান্ত। ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। বৃষ্টি কমলেই মহাসড়ক মেরামত করার কাজ করা হবে।’

 

সর্বশেষ খবর