শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বেড়েছে সবজি লবণ ও মাছের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেড়েছে সবজি লবণ ও মাছের দাম

বাজার দর

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় পৌঁছে যাওয়া পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখনো দেশি পিয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে মাছের দাম। রুই, কাতলা, শিং, কৈ, বাইলা, পুঁটি, মৃগেল ও টেংরা, চিংড়ি মাছের দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। সরবরাহ বেড়েছে সাগরের মাছের। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লইট্যা, কোরাল ও রূপচাঁদা মাছের সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কমেছে ইলিশ মাছের দাম। গতকাল এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১০০০ টাকায়। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা সবজি। আরও বেড়েছে লবণের দাম। পটোল, করল্লা, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গাসহ সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। গতকাল রাজধানীর মিরপুর ও আশকোনা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার করতে আসা ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাস ধরেই পটোল, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, করল্লা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব সবজির দাম কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল। কিন্তু বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সবজির দাম আরও বেড়েছে। বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, বাজার ও মানভেদে প্রতিকেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ৫০  থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ঝিঙ্গার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, করল্লা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। ঢেঁড়সের দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম ৭০ টাকায়। দাম বাড়ার এ কাতারে থেমে নেই বরবটি, কাঁচাকলা ও টমেটোও। প্রতি কেজি বরবটির দাম ৬০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকায়। ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি বিক্রি হওয়া কাঁচাকলার দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের ন্যায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচও। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫১০ টাকা কেজিতে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে বয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। অনেকটাই স্থির রয়েছে রসুনের দাম। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়। আশকোনা বাজারের পিয়াজ-রসুন বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, রসুনের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কয়েক দিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পিয়াজের দাম। ৩০ টাকার পিয়াজ বেড়ে ৬০ টাকা হয়ে যায়। তবে চলতি সপ্তাহে পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এ বাজারের সবজি বিক্রেতা মমতাজ মিয়া বলেন, আড়ত থেকে বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। আড়তে সবজির মজুদও কম। আর বেশি দামে কিনে আনার কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। মিরপুর কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জামাল হোসেন বলেন, বন্যার কারণে কয়েক দিন ধরে সবজি কম আসছে। আর সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি শিম বিক্রি করেছি ১১০ টাকায়। গতকাল আড়ত থেকেই কিনতে হয়েছে ১০০ টাকার ওপরে। ফলে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর