শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

বাঙ্গালবাড়ি বাতিঘর ঐতিহ্যের জাদুঘর

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাঙ্গালবাড়ি বাতিঘর ঐতিহ্যের জাদুঘর

কখনো কখনো চারদিক থাকে নীরব। থাকে পিনপতন নিস্তব্ধতা। সেই নির্জনতা ভেদ করলেই দেখা মিলবে একটি অদ্ভুত সাইনবোর্ড। লেখা ‘বাঙ্গালবাড়ি বাতিঘর’। অদূরে খোলা আকাশের নিচে একটি বাড়ি। আসলে এটিই ইতিহাস-ঐতিহ্যের জাদুঘর। এর মালিক অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী মীর আবদুল আলীম। তার পুরো বাড়িটাই জাদুঘর। এ জাদুঘর দেখতে ভিড় করেন দেশ-দেশান্তরের ভক্তরা। জানা গেছে, ইতিহাসের নানা স্মৃতিকে আঁকড়ে রাখতেই পূর্বাচলে গড়ে উঠেছে বাঙ্গালবাড়ি। এখানে আছে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, গাছপালাসহ নানা সংগ্রহ। আরও আছে ফল-ফলাদির গাছাপালা, পাখির আবাসস্থল। বাড়িটি ঘুরে দেখা গেছে, চারপাশে লাগানো হয়েছে হারিয়ে যাওয়া অনেক ফলদ ও ঔষধি গাছ। গাছে গাছে ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা। সন্ধ্যা হলেই ফিঙ্গে পাখির কিচিরমিচির আর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক যে কারও মনকে ভরিয়ে দেওয়ার মতো। এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া গোলা, গামলা, ঢেঁকি, লাঙ্গল, জাঁতা, খড়ম। রয়েছে মান্ধাতার আমলের হাতধোয়ার চিলিমচি, একতারা-দোতরাসহ কত কী। প্রতিদিনই বাড়িটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। এ অবস্থায় সময় কাটানোর জন্য দর্শনার্থীদের জন্য গড়া হচ্ছে পাঠাগার। নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে পাখির অভয়াশ্রম। সংশ্লিষ্টদের মতে, সবকিছুই এমনভাবে সাজানো হচ্ছে, যাতে বাড়িটিতে এসে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারেন সুদূর অতীতে। বাঙ্গালবাড়ির স্বপ্নদ্রষ্টা লায়ন মীর আবদুল আলীম বলেন, আমি চেষ্টা করছি এ বাড়িটি হবে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাতিঘর। এখানে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া সব স্মৃতি সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক কিছুই সংগ্রহে রাখা হয়েছে। সারা দেশে যখন প্রাচীন জিনিসপত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না, তখন এ বাঙ্গালবাড়িতে সবকিছু মিলবে। এটা হবে ঐতিহ্যের জাদুঘর।

সর্বশেষ খবর