রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুই দলেই নতুনদের তৎপরতা

রফিকুল ইসলাম রনি

দুই দলেই নতুনদের তৎপরতা

পুরান ঢাকার লালবাগ-চকবাজার-বংশাল থানার ১৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭ (১৮০) আসনটি সংসদ নির্বাচনে সব সময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপিতে নিশ্চিতভাবেই নতুন মুখ আসছে। আওয়ামী লীগে পুরনো প্রার্থী, নাকি চমক থাকছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের জোর তৎপরতা থাকলেও সেভাবে মাঠে নেই বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। বড় দুই দলের মনোনয়নে প্রবীণদের সঙ্গে জোর আলোচনায় রয়েছেন নবীনরা।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি বিএনপির নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুকে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম বিজয়ী হন। এ আসন থেকে আবারও নৌকা পেতে চান ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি সেভাবেই এলাকায় গণসংযোগ, মতবিনিময় ও কর্মিসভা করছেন। হাজী সেলিম আওয়ামী লীগে ফিরলেও তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে তিনিও নৌকা পেতে চান। কোনো কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে ছেলে সোলায়মান সেলিমকে তার উত্তরসূরি হিসেবে দেখতে চান। এরই মধ্যে হাজী সেলিম তার ছেলেকে নির্বাচনী মাঠে নামিয়েছেন। তবে পুরনোদের হটিয়ে নৌকার প্রত্যাশায় নির্বাচনী মাঠ গরম করছেন অর্ধ ডজন নতুন প্রার্থী। তারা নিয়মিত গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। এ আসন থেকে তরুণ প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আকতার হোসেন। পিছিয়ে নেই ‘আদি ঢাকাইয়া’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির। তিনিও গণসংযোগ, উঠান বৈঠক করছেন। এ ছাড়া এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী হাজী আলেয়া পারভীন রঞ্জু ও বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। ২০০৮ সালে এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু। ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন পিন্টু। ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান তিনি। পিন্টুর মৃত্যুর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নের অন্যতম দাবিদার তিনি। সেভাবেই তিনি মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া এই আসন থেকে এবার ধানের শীষ পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দলের মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রাসেল এবং মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক কমিশনার মোশারফ হোসেন খোকন।

এ আসনে জাতীয় পার্টির তেমন সাংগঠনিক শক্তি না থাকলেও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফ উদ্দিন আহমেদ মিলন প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালান তিনি। তবে এখন প্রচারণায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। গত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর