রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

ধান আর মরিচ পাশাপাশি কৃষকের মুখে হাসি

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

ধান আর মরিচ পাশাপাশি কৃষকের মুখে হাসি

বগুড়ার আদমদীঘিতে ধান চাষের পাশাপাশি অল্প সময়ে বাড়তি লাভের আশায় মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে এলাকার কৃষকরা। মরিচ চাষ লাভজনক হওয়ায় এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মরিচ চাষ।

এখানকার মরিচের গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। মরিচ চাষ করে একদিকে কৃষক যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে তেমনি দেশে মরিচের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামের মাঠে প্রায় চার বছর ধরে বেশকিছু কৃষক বোরো মৌসুমে তাদের জমিতে ধান চাষ কিছুটা কমিয়ে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে মরিচ চাষ শুরু করে। অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী আরও কৃষক মরিচ চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের গাছগুলোতে পোকা বা ছত্রাক আক্রমণ করতে পারেনি। তাই মরিচের গাছগুলো এখনো সতেজ আছে। এবারে মরিচের অধিক ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় মরিচ চাষিরা লাভবান হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামের মরিচ চাষি আবদুল লতিফ জানান, বিঘা প্রতি প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হলেও ইতিমধ্যে আমার ১৯ শতাংশ জমি থেকে এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রয় করেছি। বাজার দর ঠিক থাকলে আরও কমপক্ষে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রয় হবে। আমার দেখা-দেখি প্রতিবেশী কৃষকরাও মরিচ চাষের দিকে আগ্রহী হচ্ছে। ওই গ্রামের মরিচ চাষি আবদুর রশিদ জানান, আমার ১৬ শতক জমিতে এবার মরিচের আবাদ করেছি। খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। খেতে আরও মরিচ আছে এখনো প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রয় হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কামরুজ্জামান জানান, আদমদীঘি উপজেলায় এ বছর ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। মরিচের ফলন ভালো ও বাজার দর বেশি পাওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মরিচ চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর