শিরোনাম
সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

আবারও মেনন-সোহেলের লড়াই!

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারও মেনন-সোহেলের লড়াই!

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল-রমনা-পল্টন থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ (১৮১) আসন। এ আসনটিতে গত দুবার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ১৪ দলের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে তিনিই আবার জোটের মনোনয়ন চাইবেন। আর জোটবদ্ধ নির্বাচন না হলে এ আসনে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের ভোটারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে পারেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করেছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। এবারও তিনি এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ আসনে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও। ‘ঢাকা যার, রাজনীতি তার’ এই নীতিতে রাজধানীতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে ঢাকার সব আসনে জয় চায় আওয়ামী লীগ। দলটির নেতা-কর্মীরা মনে করেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে নাশকতা প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে রাজধানী আওয়ামী লীগের দখলে থাকায়। বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে চরম অরাজকতা তৈরি করতে পারলেও ঢাকায় অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। এ কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসন কীভাবে ধরে রাখা যায় তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। এ কারণে যেখানে যাকে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী সহজে পার হওয়া যাবে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। তাই রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল-পল্টন, রমনা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী বিবেচনায় খুব হিসাব-নিকাশ করেই প্রার্থী দেওয়া হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড এ আসনের আওতাভুক্ত। এ আসনের এমপি ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী।  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি জোটের প্রার্থী হতে চান। জোটগত নির্বাচনে গেলে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাও দিতে পারে। কিন্তু জোটগত নির্বাচন না হলে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে পারেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। মতিঝিল-পল্টন-রমনা এলাকায় বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের একটি বিশাল ভোট রয়েছে। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ তথা তরুণ ভোটারদের মধ্যে আলাদা ভাবমূর্তি আছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিট কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে নেতা-কর্মীদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে জোটগত নির্বাচন হলে, আর আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দিলে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট প্রার্থী হবেন না। ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নের দাবিদার দলটির শীর্ষ দুই নেতা মির্জা আব্বাস ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল অনুসারীদের মতে, ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে সোহেলের। একই সঙ্গে তরুণ নেতা হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং এই এলাকার থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের একটি অংশের নেতা-কর্মীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তার। মির্জা আব্বাস বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা, সাবেক মন্ত্রী। আসন পুনর্বিন্যাসের আগে (মতিঝিল, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ, মুগদা, খিলগাঁও) এই এলাকার এমপি হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়াতে নিজস্ব ভোট রয়েছে তার। তবে মামলা সংক্রান্ত কারণে এই দুজন নির্বাচন করতে না পারলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালুকে এ আসনে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জানা গেছে। অপরদিকে জোর তত্পরতা না থাকলেও এ আসনে এবার জাতীয় পার্টি থেকে দলের মনোনয়ন চাইবেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল। নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন। দলের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনকে গোছাচ্ছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর