সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

সহকর্মীকে ধর্ষণ কনস্টেবল গ্রেফতার

মাকে বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে কনস্টেবল আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় ধর্ষণের অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন সহকর্মী নারী পুলিশ কনস্টেবল। পুলিশ বলছে, ওই নারী এবং কনস্টেবল আরিফুল দুজনেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শাহজাহানপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, শনিবার রাতে ওই নারী কনস্টেবল ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। এতে কনস্টেবল আরিফুলের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাতেই ওই নারী কনস্টেবলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।

ডিমলায় মাকে বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মাকে বেঁধে রেখে বাড়ি থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের চাতুনামা গ্রামের এ ঘটনায় রবিবার সকালে ধর্ষিতাকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বিকালে তাকে (ধর্ষিতা) ডাক্তারী পরীক্ষা ও উন্নত চিকিত্সার জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষিতার মা (৬০) অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের স্বামী এলাকার বাইরে কাজে গেছে ১০ দিন আগে। এ কারণে মেয়ে ও তার তিন সন্তানকে নিয়ে তার স্বামীর বাড়িতে আমি অবস্থান করছি। গত শনিবার রাতে হঠাৎ করে সাত থেকে আটজন লোক এসে আমার হাত, পা, মুখ বেঁধে ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আমার নাতি-নাতনিরা মুখের বাঁধন খুলে দেয়। এসময় আমার চিত্কারে এলাকাবাসী ও একই গ্রামের আমার ভাই এবং স্বামী এগিয়ে এসে মেয়েকে খুঁজতে থাকে। রাতে তাকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। পরদিন বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে হাত, পা, মুখ বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে এলাবাসী। ধর্ষিতার বাবা বলেন, ‘মানুষের কাছে খবর শুনে সেখানে দেখতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই হাত, মুখ, পা বাঁধা অবস্থায় ধান খেতের একটি ফাঁকা জমিতে আমার মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় তার পরনের কাপড় ছেঁড়া ছিল। তাত্ক্ষণিক থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ধর্ষিতার মামা বলেন, ‘আমার বোন ও ভাগনির কাছে ঘটনা শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে সাত থেকে আটজন জড়িত আছে। এলাকার রহিম (২৮) এবং স্টার (২৬) নামে দুই ভাইকে তারা চিনতে পেরেছে। নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল সূত্র মতে, রবিবার বিকাল চারটা ২০ মিনিটে ধর্ষিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাড়ে পাঁচটার দিকে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এসময় হাসপাতালে ওই ধর্ষিতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মফিজ উদ্দীন শেখ বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিত্সা ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক সামিউল ইসলাম বলেন, ‘মাকে শারীরিক আঘাতজনিত কারণে এবং মেয়েকে ধর্ষণজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন ধর্ষণের বিষয়টি গাইনি চিকিত্সক পরীক্ষা করে দেখবেন।’ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে’।

সর্বশেষ খবর