শিরোনাম
সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

স্বভাবে হিংস্র শিকারি পাখি ‘ঝুটিয়াল গোদাশিকরে’

আলম শাইন

স্বভাবে হিংস্র শিকারি পাখি ‘ঝুটিয়াল গোদাশিকরে’

পাখির বাংলা নাম, ‘ঝুটিয়াল গোদাশিকরে’। ইংরেজি নাম,  ‘ক্রিস্টেড গৌশক (Crested Goshawk)’। বৈজ্ঞানিক           নাম,  Accipiter trivirgatus। এরা ‘বাজপাখি’ নামেও পরিচিত। এশিয়া অঞ্চলের শিকারি পাখি এটি। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, চীন, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত এদের বিস্তৃৃতি। এ ছাড়াও হিমালয় অঞ্চলের বনভূমিতে এদের বিচরণ রয়েছে। স্বভাবে হিংস । শিকারে বের হয় একাকি। তবে জোড়ায় জোড়ায়ও দেখা যায়। খুব ধীরে ধীরে উড়ে। উড়তে উড়তে তীক্ষ্মস্বরে ডাকে। অনেক উঁচুতে উঠতে পারে। বিশ্বব্যাপী প্রজাতিটি হুমকি নয়, মোটামুটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রজাতিটি দৈর্ঘ্যে ৩০-৪৬ সেন্টিমিটার। প্রসারিত ডানা ৫৪-৭৯ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় সামান্য পার্থক্য আছে। পুরুষ পাখি আকারে ছোট, ওজন ২২৪-৪৫০ গ্রাম। অপরদিকে স্ত্রী পাখির ওজন ৩৫২-৫৬৩ গ্রাম। পুরুষ পাখির মাথায় গাঢ় বাদামি মুকুট, যা স্ত্রী পাখির নেই। পুরুষ পাখির মাথা ধুসর। স্ত্রী পাখির মাথা বাদামি। এ ছাড়া উভয়ের ঘাড়, পিঠ ধূসর-কালো। লম্বা লেজ কালো-ধূসর ডোরা। গলা সাদার ওপর লম্বা কালো দাগ। দেহতল বাদামি-সাদা ডোরা। চোখের বলয় হলুদ, মণি কালো। ঠোঁট কালো বড়শির মতো বাঁকানো, গোড়া হলুদ। পা উজ্জ্বল হলুদ। যুবাদের রঙ ভিন্ন। প্রধান খাবার : ছোট পাখি, টিকটিকি, ইঁদুর, ব্যাঙ, পোকামাকড় ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে জুলাই। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের লক্ষ্য করা যায়। এদের বাসা হয় অগোছালো। বাসা বাধে গাছের উঁচু ডালে। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে শুকনো চিকন কিংবা কাঁচা ডালপালা। নিরাপদ হলে একই বাসায় ফি বছর ডিম-বাচ্চা ফোটায়। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ফুটতে সময় লাগে ৩০-৩৪ দিন। শাবক স্বাবলম্বী হতে প্রায় মাস খানেক সময় লাগে।

সর্বশেষ খবর