মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

গ্রেফতারের পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্র সাগর সাহা হত্যার সন্দেহভাজন মূল হোতা পুলিশের হাতে আটকের পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোররাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর বেড়িবাঁধ এলাকার একটি কলাবাগানে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম এনামুল হক (৩০)। তিনি সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, তিনটি গুলির খোসা ও দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। কলেজছাত্র সাগর সাহাকে (১৯) অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে শনিবার এনামুলকে আটক করে পুলিশ। এনামুল জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও কিছুদিন আগে আওয়ামী  লীগে যোগ দেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের অভিযোগ, দলের কিছু সুবিধাভোগী নেতার সহায়তায় জামায়াত-বিএনপির লোকেরা আওয়ামী লীগে নানা অপকর্ম করছে। এদিকে, সাগর সাহা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত এনামুলের চাচী শিবপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর জেসমিন খাতুন ও তার এক আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে। রবিবার শিবপুরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। গতকাল দুপুরে পুলিশ আটক দুই নারীকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে। তবে অপর হোতা শিপন পলাতক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি রতন শেখ জানান, সাগরকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে শনিবার এনামুলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সহযোগীদের ব্যাপারে তথ্য দেন। তাকে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। হামলাকারীরা একপর্যায়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে এনামুল আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী প্রদীপ সাহার ছেলে সাগরকে বুধবার সন্ধ্যায় হরিনারায়ণপুর বাজার থেকে অপহরণ করা হয়। পরে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার বাবাকে ফোন করে অপহরণকারীরা। অপহরণের তিন দিন পর শনিবার রাতে শিবপুর গ্রামের পরিত্যক্ত একটি শৌচাগার থেকে সাগরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর