বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
পুলিশের এসি রাহুলকে গুলিবর্ষণ

সেই মামুন নিহত ‘বন্দুকযুদ্ধে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র এসি রাহুল পাটওয়ারীকে গুলিবর্ষণকারী মামুন (৩০) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে জুরাইন কবরস্থান এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, গুলির ঘটনায় শ্যামপুর থানায় দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন মামুন। ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ডিসি) আবদুল বাতেন বলেন, ‘এসি রাহুলকে গুলি করে যারা পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন দেলোয়ার হোসেন শান্ত। আমরা তাকে প্রথমে গ্রেফতার করি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে জুরাইন কবরস্থান এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি গ্রুপ গুলি ছোড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে।’ পরে এক?জনকে আহতাবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে উল্লেখ করে আবদুল বাতেন বলেন, ‘মামুনের মৃত্যু কাদের অস্ত্রের গুলিতে হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অস্ত্র ও গুলির ব্লাস্টিক পরীক্ষা করা হবে।’ ডিবির এডিসি (পশ্চিম) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘গুলির ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার শান্ত গতকাল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে মামুনের নাম ছিল। মামুনই এসি রাহুলকে গুলি করেছেন। স্থানীয় সন্ত্রাসী মামুনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।’ এসি রাহুল সম্পর্কে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে তিনি অনেকটা ভালো। ঢামেক হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।’ প্রসঙ্গত, ১২ আগস্ট রাতে শ্যামপুরের পোস্তগোলায় ডিবির এসি রাহুল পাটওয়ারী অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। একই ঘটনায় এসির সোর্স বিল্লাল হোসেন মৃদুল ও সেলিম নামে এক পথচারীও গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন বিকালে ডিবির এসআই সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্যামপুর থানায় একটি মামলা করেন।

এতে অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন শান্ত, পেট কাটা রনিসহ অজ্ঞাত তিন-চার জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ খবর