সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় কামরুল হাসান নামে এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত কামরুল আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার হারুন-উর রশিদের ছেলে। তিনি উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাণিজ্য শাখার ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যক্ষেণ কেন্দ্রে (আইসিও) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাসান। এর আগে বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেট এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন ওই শিক্ষার্থী। নিহত কামরুল হাসানের বন্ধুরা জানায়, বিকালের দিকে হাসানসহ মোট ৫ বন্ধু বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে হাসানের পূর্ব পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে দেখা হলে সে হাসানের সঙ্গে পূর্বঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্কের এক পর্যায়ে হাসান ও ওই যুবক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের সঙ্গে থাকা আরও কয়েক যুবক এসে মারামারিতে লিপ্ত হয়। তারা কামরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে হাসান গুরুতর আহত হলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসান মারা যান। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যায়। এ ঘটনায় নিহত হাসানের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া কারা জড়িত এবং কী বিষয় নিয়ে তাদের হাসানের সঙ্গে বিরোধ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।