বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেষ দিনেও কমলাপুরে উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেষ দিনেও কমলাপুরে উপচে পড়া ভিড়

শেষ দিনে গতকাল কমলাপুরে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদ যাত্রায় ৩১ আগস্টের টিকিটের চাহিদা ছিল বেশি। ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির শেষদিন মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রত্যাশিত টিকিটের জন্য দিনভর শত কষ্টের মধ্যেও অপেক্ষা করেছেন হাজারো মানুষ। এদের অনেকে আগের রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পাননি পছন্দ মতো টিকিট। কেউ কেউ ফিরে গেছেন খালি হাতে। ঈদের বিশেষ টিকিট বিক্রির শেষে গতকাল বিক্রি করা হয় ১ সেপ্টেম্বরের ট্রেনের টিকিট। মাত্র একদিন আগের নোটিসে সাধারণ যাত্রার মতো এই টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। ঈদের একদিন আগেও নাড়ির টানে ট্রেনে বাড়ি ফিরতে স্টেশনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। সন্ধ্যার আগ পর্যন্তও ২৩টি কাউন্টারের প্রতিটির সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বেশির ভাগই ৩১ আগস্ট যেতে চাইলেও পাননি প্রত্যাশিত টিকিট। তাই গতকাল ১ সেপ্টেম্বরের টিকিট কাটতে আসেন। ঈদের আগ মুহূর্তে শত শত ট্রাকে কোরবানির পশু ঢুকবে রাজধানীতে। এ ছাড়া সাম্প্রতিককালের বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চলের সড়ক পথের পরিস্থিতিও নাজুক। সবকিছু বিবেচনায় রেখে এবার ট্রেনকেই অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য মনে করছেন যাত্রীরা। তাই ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। এমনকি গতকাল ভিআইপি ও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংরক্ষিত টিকিট সংগ্রহেও ছিল দীর্ঘ সারি। গত ১৮ আগস্ট থেকে শুরু হয় ঈদ উপলক্ষে ২৭ আগস্টের ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি। পরদিন ১৯, ২০, ২১ ও ২২ আগস্টে যথাক্রমে ২৮, ২৯, ৩০ এবং ৩১ আগস্টের আগাম টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রথম দুদিন প্রায় ২৩ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। বাকি দিনগুলোতে বিশেষ ট্রেন সংযোজন হওয়ায় ২৫ হাজার করে টিকিট বিক্রি করা হয়। ভিআইপি, মোবাইল ও অনলাইনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৫ ভাগ এবং কমলাপুর স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রির জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ৬৫ ভাগ টিকিট।

কথা হয় ধূমকেতু এক্সপ্রেসের টিকিট প্রত্যাশী সাইদুরের সঙ্গে। তিনি সকাল থেকে লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পৌঁছতে পারেননি কাউন্টারের কাছে। এ সময় দেয়ালে টানানো নোটিসে জানতে পারেন ঈদের আগের দিন টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বরের যাত্রা। তিনি বলেন, একদিন আগে ট্রেনের টিকিট পেলেও ভালো। ভিড়ের মধ্যে কিছুটা কষ্ট হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাড়ি ফেরা যাবে। আর বাসে যেতে চাইলে হয়তো রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়তে হতে পারে। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, ঈদ ছাড়া অন্যান্য দিনে যেভাবে সাধারণ টিকিট বিক্রি হয় সেভাবেই কাউন্টারে ১ সেপ্টেম্বরের টিকিট বিক্রি হয়েছে। এ দিনের যাত্রাতেও প্রত্যেক কাউন্টানের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের ছিল ভিড়। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জানান, ঈদে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করবে রেলওয়ে। আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ঈদের পর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। জানা গেছে, ৩-৭ সেপ্টেম্বরের ফিরতি টিকিট কমলাপুরে পাওয়া যাবে আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত।

সর্বশেষ খবর