শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রথম এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক হবে টেকনাফে

জিন্নাতুন নূর

প্রথম এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক হবে টেকনাফে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গড়ে উঠছে দেশের প্রথম এক্সক্লুসিভ ইকোট্যুরিজম পার্ক। বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে পার্কটি তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক মানের হোটেল সেবা, ইকোট্যুরিজম, ওয়াটার ট্যুরিজম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যভিত্তিক পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে এক্সক্লুসিভ এ পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ‘সাবরাং ইকোট্যুরিজম পার্ক’ নামে এ প্রকল্প প্রায় এক হাজার ২৭ একর জায়গার ওপর তৈরি করা হবে। সরকার এ জমি অধিগ্রহণের জন্য ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এরই মধ্যে পার্কটির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করে বেজা কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পাহাড় ও সাগরের উপকূল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ পার্কটি হবে দেশের মনোরম একটি পার্ক। আর এটি তৈরি সম্পন্ন হলে প্রাকৃতিক নৈসর্গের লীলাভূমি কক্সবাজারে আরও দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম ঘটবে। টেকনাফ শহর থেকে সাবরাং পার্ক পাঁচ কিমি দূরে অবস্থিত। আর সড়কপথে কক্সবাজার-সাবরাং মেরিন ড্রাইভ দিয়ে পার্কটিতে যেতে হবে। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব ৯৬ কিমি। বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে এ পার্কে যেতে এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় লাগবে। অন্যদিকে এ পার্ক থেকে টেকনাফ বন্দরের দূরত্ব ৯ কিমি। পার্কটি থেকে নাফ নদের দূরত্ব ৮ কিমি। অন্যদিকে সাগরপথে রিভার ত্রুদ্ধজে করে মাত্র আধঘণ্টায় এ পার্ক থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পৌঁছানো সম্ভব। অর্থাৎ দেশে সাগরের বিস্তৃত উপকূল ও বিশাল পাহাড়ি এলাকার সঙ্গে পার্কটি যুক্ত হলে তা পর্যটনশিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘কক্সবাজারের এক্সক্লুসিভ পার্কটি বেজা কর্তৃপক্ষ পিপিপির ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করছে। বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এ পার্কে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পার্কটি দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’ বেজার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী জানান, পার্কটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে পার্কের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ ও রাস্তা মেরামতের কাজ প্রায় শেষ। এ ছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পার্কটির তীরে একটি জেটি নির্মাণের জন্য যে অর্থনৈতিক অনুমোদন প্রয়োজন, এর জন্য এরই মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত সারমর্ম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। জমি ভরাট ও ড্রেনেজ কাজের জন্য আরও একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর কথা চিন্তা করা হচ্ছে। বেজা সূত্র জানায়, পার্কটি তৈরির জন্য দেশি বা বেদেশি বেসরকারি বিনিয়োগই বেশি আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারতের বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক আরেকটি প্রতিষ্ঠান ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ পিটিই লি. এ পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে বেজার কাছে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) দিয়েছে। অন্যদিকে টেকনাফের পাশেই মিয়ানমারের অবস্থান হওয়ায় বেজা কর্তৃপক্ষ দুই দেশের নিরাপত্তার বিষয়টিও নজরদারি করবে বলে জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর