নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত মো. আলম (৩৬) ধীতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের পূর্ব জয়নারায়ণপুর গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এ সময় বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের সাত সদস্য আহত হন। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামাক্ষা চন্দ্র দাস জানান, নিহত আলম আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আলম ওই বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে ও আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার সকালে ৭-৮ জনের সাদা পোশাকধারী নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, পলাতক আসামি আলমের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। বুধবার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও তার ব্যবহূত অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করার জন্য তাকে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। রাত আড়াইটার দিকে আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের দাসেরগো বাগানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য যায় পুলিশ। এ সময় আলমের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। জবাবে পুলিশও পাল্টা ২৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। আলমের সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে আলম গুরুতর আহত হন। গুরুতর অবস্থায় আলমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, তিনটি ছোরা, পাঁচটি স্টিলের রডসহ কিছু ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
