রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

চামড়া নষ্ট হলে দায় নেবেন না ট্যানারি মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুপযোগী রাস্তাঘাট আর লবণের অভাবে এবার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) নেতারা। তারা বলেছেন, কাঁচা চামড়া নষ্ট হলে তার দায় ট্যানারি মালিকরা নেবেন না।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে গতকাল অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএফএলএলএফইএর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। তিনি বলেন, ‘সাভারের হেমায়েতপুর বাজার থেকে চামড়া শিল্পনগরী পর্যন্ত রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। শিল্পনগরীর ভিতরের সড়কের অবস্থাও শোচনীয়। ফলে কোরবানি ঈদের সময় কাঁচা চামড়াবাহী ট্রাক পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভাঙা সড়কে একটি ট্রাক আটকে গেলে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হবে। এতে ট্রাকভর্তি চামড়ায় পচন ধরতে পারে, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা চামড়া সংরক্ষণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এর পরও সমস্যা সমাধানে সরকার উদ্যোগ না নিলে ট্যানারি মালিকদের চেষ্টা সফল হবে না। সে ক্ষেত্রে চামড়া নষ্ট হওয়ার দায়দায়িত্ব ট্যানারি মালিকরা নেবেন না।’

লবণের অভাবেও চামড়ায় পচন ধরতে পারে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, ‘চামড়া ছাড়ানোর ৬ ঘণ্টার মধ্যে পরিমাণমতো লবণ না দিলে চামড়ার পচন রোধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর লবণের অভাবে প্রায় ৩০ শতাংশ চামড়ার গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারও লবণের দাম ইতিমধ্যে বেড়ে গেছে। তাই চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে।’ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারা বছর ১ বস্তা (৭৫ কেজি) লবণের দাম থাকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কোরবানি ঈদের আগে তা বেড়ে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়ে যায়। এবারও লবণের বস্তা ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়ে গেছে। সরকার ৫ লাখ টন লবণ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। তা যাতে সময়মতো আসে, সে বিষয়ে সরকারের তদারক করা উচিত।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দিলজান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর