মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি কামনা করে ঈদুল আজহা উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্মীয় ভাবগম্ভীর আর উৎসবমুখর পরিবেশে ও ত্যাগের মহিমায় শনিবার ১০ জিলহজ বাংলাদেশের সর্বত্র উদ্যাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায় এবং সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করেন এই ধর্মীয় উৎসব। সকালে ঈদের নামাজ শেষে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের নিয়ে দুর্যোগ-দুর্বিপাক থেকে মুক্তি ও রোহিঙ্গা মুসলমানসহ মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা, দেশের শান্তি, কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া ও মোনাজত করেন। জিলহজ মাসের দশম দিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়। বাংলাদেশে এটি ‘কোরবানির ঈদ’ নামেই পরিচিত। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগের মহিমায় এদিন পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে মনের কলুষতা বিসর্জন দেওয়া ইসলামের শিক্ষা।

রাজধানী ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সকাল ৮টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ লাখো মুসল্লি সেখানে নামাজ আদায় করেন। নারী মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহের দক্ষিণ পাশে পৃথক ব্যবস্থা করা হয়। জাতীয় ঈদগাহে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। মোনাজাতে তিনি আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন, ‘হে আল্লাহ! বন্যাসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বালা-মুসিবত থেকে তুমি দেশ ও জাতিকে নাজাত (মুক্ত) দাও। বানের পানিতে যারা ভাসছে, হে পরওয়ারদিগার! তুমি তাদের জানমাল, ইমানের হেফাজত কর। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে ধরনের অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম চলছে, হে আল্লাহ! এই জালিমদের অত্যাচার থেকে তুমি তাদের রক্ষা কর। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে তুমি রক্ষা কর। তাদের ইমান-আকিদা তুমি রক্ষা কর।’ মোনাজাতের শেষ দিকে বৃষ্টি নামলে ত্রিপলে ছাওয়া ঈদগাহ মাঠেই আশ্রয় নেন সবাই। নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। সকালে সূর্য হেসে উঠলেও ৮টার দিকে মেঘে মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বৃষ্টির আশঙ্কার মধ্যেই মুসল্লির ঢল নেমেছিল জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। গত বছর শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর এবারও ঈদের জামাত ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঢুকতে হয়েছে সবাইকে।

রাজধানীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। এখানে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাত হয়। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবার রাজধানীতে ৪০৯টি স্থানে ঈদ জামাতের আয়োজন করে। সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, এবার দুই সিটি এলাকায় প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার পশু কোরবানির জন্য ১ হাজার ১৭৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটিতে ৬২৫ ও উত্তরে ছিল ৫৪৯টি স্থান। শনিবার সকালের দিকে ঢাকাসহ দেশের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও ঈদ জামাত ও কোরবানির ব্যাঘাত ঘটেনি। দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির কারণে মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন। ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে এবার দোয়ায় নিজ দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলমানসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য খাস রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী বেগম রাশিদা খানম ও পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রধান বিচারপতিকে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান এবং ভালো করে খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এদিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিকসহ সিনিয়র নাগরিক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা ঈদ-শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি এ সময় সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘এ বছর হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যা এবং দেশের কয়েকটি অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে অনেক মানুষ ভালোভাবে ঈদ করতে পারছে না। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তাই ঈদুল আজহার পবিত্র এই দিনে আমি দেশের বিত্তবান ও সামর্থ্যবান সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি— সরকারের পাশাপাশি আপনারাও সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবেন।’

গণভবনে দলের নেতা-কর্মী, বিশিষ্টজনসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। তিনি প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবিও তোলেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে, তার সুফল দেশবাসী পাচ্ছে।’

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— চট্টগ্রাম : জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল পৌনে ৮টায় এ ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন আল কাদেরী। ঈদের দিন সকাল থেকেই বন্দর নগরীর আকাশ ছিল মেঘলা। থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদ জামাত শুরুর সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল। এখানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক দুই সিটি মেয়র বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সোলায়মান আলম শেঠ, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহম্মদসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী হজ পালনে সৌদি আরবে থাকায় এবং সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন পা পিছলে কোমরে আঘাত পাওয়ায় ঈদ জামাতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার নগরীতে মোট ১৬৬টি এবং কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির আয়োজনে ৯০টি স্থানে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে নামাজে অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান এবং অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটসম্যান খোওয়াজা। অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে তারা এখন চট্টগ্রামে। সিলেট : রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধসহ বিশ্ব শান্তি কামনায় সিলেটে উদযাপিত হয়েছে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঈদুল আজহা। ঈদের প্রধান জামাত হয় সকাল সাড়ে ৮টায় ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিরোধীদলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মুসল্লিরা অংশ নেন। সকাল পৌনে ৮টায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ, সকাল ৮টায় দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহপরান (রহ.) দরগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী : সকাল ৮টায় হজরত শাহমখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক সিটি মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। এর আগে ইমাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বিশেষ বয়ান দেন। রাজশাহী মহানগরীতে এবার ২৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী প্রযুক্তি এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। এ ছাড়া আহলে হাদীস মাঠসহ উপজেলা পর্যায়ের প্রায় এক হাজার ঈদগাহে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল : ঈদের প্রধান জামাত হয় হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায়। সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল, বিচারপতি নাজমুল আহসান মিজান, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করেন। এখানে নারী মুসল্লিরাও পৃথকভাবে নামাজ আদায় করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধান জামাতসহ সব ঈদ জামাতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। নামাজ শেষে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপা প্রার্থনা করা হয়। বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরিফ ময়দানে সকাল ৯টায়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এখানে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন। বরিশালে দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত হয় পিরোজপুরের নেছারাবাদ ছারছিনা দরবার শরিফ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া ঝালকাঠির মরহুম হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর প্রতিষ্ঠিত এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (রহ.) মাজার ওয়াক্ফ স্টেট ময়দানে, আলেকান্দা নূরিয়া স্কুল ঈদগাহ মাঠে, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ঈদগাহ কমপ্লেক্সে, বরিশাল নগরীর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ, চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ, কেন্দ্রীয় কসাই জামে মসজিদ, পুলিশ লাইনস্ জামে মসজিদ, কেন্দ্রীয় কারাগার জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও বিভাগে ছোট-বড় সহস াধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহ : ঈদের প্রধান জামাত হয় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আবদুল্লাহ আল মামুন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহ, সুখ-শান্তি ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। গাজীপুর : ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায় ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এতে ইমামতি করেন গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মনির আহমেদ খান। এখানে এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সর্বস্তরের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। এ ছাড়া গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর