নড়াইলে চলছে চার দিনব্যাপী ‘সুলতান উৎসব’। গতকাল ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন। সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশন ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এ উৎসব হচ্ছে। উৎসব উপলক্ষে চিত্রশিল্পীর পুণ্যভূমি নড়াইল সেজেছে অপরূপ সাজে। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ব্ববিদ্যালয় ও কলেজের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আর্টক্যাম্প, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার, সম্মাননা ও পদক বিতরণ এবং উৎসবের শেষ দিন শনিবার চিত্রা নদীতে নৌকা বাইচ। ইতিমধ্যে আর্টক্যাম্পে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ব্ববিদ্যালয় ও কলেজের চারুকলা বিভাগের ৩০ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এসেছেন। চার দিনব্যাপী এ উৎসবে গ্রামীণ কুটিরশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের ২৫টি স্টল বসেছে। বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চ চত্বরে বুধবার সন্ধ্যায় চার দিনব্যাপী সুলতান উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী। এ সময় আর্টক্যাম্প উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম। চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মিকু, এস এম সুলতানের পালিত কন্যা নীহার বালা, এস এম সুলতান আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অশোক কুমার শীল। আর্টক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৩০ জন চিত্রশিল্পী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক শিল্পী বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস। বরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরতলির মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার, অসাম্প্রদায়িক এই শিল্পী যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রামে তাকে শায়িত করা হয়। শিল্পী সুলতান স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা এবং বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান।