শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

পটুয়াখালীর সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হচ্ছে কাল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাঙ্গা এলাকায় স্থাপিত সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের দ্বিতীয় এই স্টেশনটির শুভ উদ্বোধন করবেন।

নির্মিত এ সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটির মাধ্যমে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সুবিধাসহ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হবে গোটা দেশ। সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের চেয়ে পটুয়াখালীতে স্থাপিত দ্বিতীয় প্রকল্পটি প্রায় আট গুণ বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। এটি উদ্বোধনের পর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নেটওয়ার্কে ভাসবে গোটা দেশ। আর দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ করে চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। প্রথম প্রকল্পটির লাইফ টাইম শেষে দ্বিতীয় প্রকল্প দিয়েই পুরো দেশে ইন্টারনেট সেবা  দেওয়া যাবে। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল টেলিযোগাযোগ বিভাগের আঞ্চলিক প্রকল্প পরিচালক পারভেজ মনন আশরাফ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটি। ক্রমেই এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কক্সবাজারে একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এ সাবমেরিন স্টেশনটির কেবল লাইন কাটা পড়লে বিএসসিসিএলের কাছে নেটওয়ার্ক সরবরাহের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাহকদের বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে কক্সবাজারে নির্মিত দুইশ জিবিপিএস ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম সাবমেরিন স্টেশনটির লাইফ টাইম শেষে পটুয়াখালীর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাবমেরিন কেবল স্টেশন থেকে গোটা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করা যাবে। ফলে দ্রুতগতির নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটসহ নানা সেবা পাবে গ্রাহক। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মশিউর রহমান বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ল্যান্ডিং স্টেশনের বৈদেশিক সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। সব কাজ সম্পন্ন করে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ৪০ জিবিপিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ সুবিধাসহ ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। স্টেশনটির উদ্বোধনের পর সর্বোচ্চ ১৫০০ জিবিপিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ সুবিধাসহ ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

 

সর্বশেষ খবর