শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

ফুল বিক্রি করে সংসার চলে জহুরুলের

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

ফুল বিক্রি করে সংসার চলে জহুরুলের

ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুলকে কে না ভালোবাসে? সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ বাড়ির আঙিনায় ফুল চাষ করেন। কেউবা আবার মৌসুমি ফুলের টব রাখেন বাড়ির ছাদ বা বারান্দায়। আর শিশুদের খেলনা কিংবা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঘরে রাখেন কৃত্রিম ফুল। তাছাড়া বিয়ে, জন্মদিন, শুভ হালখাতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাগজের ফুলের কদর তো রয়েছেই। তাই প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ঘুরে ঘুরে রঙিন কাগজের ও প্লাস্টিকের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জামগ্রামের সাজ্জাদ প্রামাণিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম। সারাদিন রোদ কিংবা বৃষ্টি যাই হোক না কেন ব্যবসা করতে যেতেই হবে তাকে। ফুল বিক্রি করতেই হবে। তা না হলে সংসার চলবে কি করে? নিজ হাতে তৈরি কাগজের ফুলই তো তার অন্ন জোগাতে সিংহভাগ ভূমিকা রাখছে। ফুল নেবে ... ফুল ... লাল-নীল রঙিন কাগজের ফুল। এমন করে গ্রামের মেঠো পথে কাগজের ফুল বিক্রেতার হাঁক শুনলেই ছোট বড় সবাই ছুটে আসেন ফুল নিতে। কাগজের ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, আত্রাইয়ের অর্ধশত পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে বিশেষ  ভূমিকাও পালন করছে। আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম ঘুরে দেখলে মনে হয় যেন ফুলের মেলা বসেছে। আর কাগজের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে উপজেলার জামগ্রামের জহুরুল ইসলামসহ অর্ধশত পরিবার। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর জমিদার বাড়ির সামনে পড়ন্ত বিকালে দেখা মিলল জহুরুল ইসলামের। ফুল বিক্রির পাশাপাশি দীর্ঘ সময় আলাপচারিতায়  জানান, আগে বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অল্প পুঁজিতে ফুলের ব্যবসা করা যায়। বাবা-মা ভাইকে সঙ্গে নিয়েই অভাবের সংসারে এভাবেই জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন জহুরুল। প্রতিদিন সকাল হলেই ফুল বিক্রি করতে চলে যান উপজেলার ভবানীপুর, কাশিয়াবাড়ি, নওদুলি, বান্ধাইখাড়া, সিংসাড়া, ধর্মপুর, লালপাড়া, বিষা ও হাটকালুপাড়াসহ পাশের উপজেলায়। প্রতিদিন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। তিনি আরও জানান,  জীবনের  ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করতে হয়।  বাসের ছাদে বা ট্রাকে গন্তব্যে যেতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর