রাজধানীর হাতির ঝিল এলাকায় গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির দিন ৫ অক্টোবর ধার্য হয়েছে। শুনানি হবে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। বিজিএমইএর আবেদনের শুনানি করে গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই দিন ধার্য করেন। ফলে বেগুনবাড়ী খালের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজটি আবারও পিছিয়ে গেল।
এর আগে ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করলে ১২ মার্চ বিজিএমইএকে ছয় মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে ভবন ভাঙতে পারেনি বিজিএমইএ। বরং ২৩ আগস্ট আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠনটি। বিজিএমইএর পক্ষে আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী আদালতে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চেম্বার আদালত ৫ অক্টোবর শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। ফলে এ সময় পর্যন্ত বিজিএমইএ ভবনে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। ৫ মার্চ আপিল বিভাগ ভবন রক্ষায় বিজিএমইএর রিভিউ আবেদন খারিজ করেন। ফলে পোশাক মালিকদের সংগঠনের ১৬তলা ওই ভবনটি ভাঙতে সব আইনি বাধা দূর হয়। ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগ ওই রায় দেয়। নির্মাণ শেষে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালে ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের অভিযোগ ছিল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে এবং উন্মুক্ত স্থান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ লঙ্ঘন করে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে বেগুনবাড়ী খালের একাংশ ভরাট করে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের সময় অনুমোদিত নকশাও অনুসরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছিল রাজউক। বিষয়টি নজরে এলে ২০১০ সালের ৩ অক্টোবর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালে বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাই কোর্ট।