বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

খোঁজ মেলেনি পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গিদের

নেই তথ্যও

মাহবুব মমতাজী

খোঁজ মেলেনি পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গিদের

এক বছরের বেশি সময় ধরেও দুজন ছাড়া খোঁজ মেলেনি বাকি সেই জঙ্গিদের। তারা কোথায় সেই তথ্যও এখন পর্যন্ত নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। অথচ যাদের ধরিয়ে দিতে দুই লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। যারা ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক ও প্রকাশক হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে তারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) শীর্ষ ছয় সদস্য। পুরস্কার ঘোষিত সেই জঙ্গিরা হলেন— শরিফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরিফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদী-১, সেলিম ওরফে ইকবাল ওরফে মামুন ওরফে হাদী-২, সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সালমান ওরফে সাদ, শিহাব ওরফে সুমন ওরফে সাইফুল এবং সাজ্জাদ ওরফে সজিব ওরফে সিয়াম ওরফে শামস। পুলিশ জানায়, এদের মধ্যকার শরিফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরিফ গত বছরের ১৯ জুন ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। তার আগে একই মাসের ১৫ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে শিহাব ওরফে সুমন গ্রেফতার করা হয়। আর বাকি চারজনের খোঁজ এখনো মেলেনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র জানায়, গতবছরের ১৯ মে শীর্ষ ছয় জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। দুজন বাদে যে চারজন এখনো অধরা আছেন তারা হলেন— সেলিম ওরফে ইকবাল। তিনি শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলেন। তার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, চশমা পরে। গায়ের রং শ্যামলা বর্ণের, তার বাড়ি উত্তরবঙ্গে। ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা, ওয়াশিকুর বাবু হত্যা, নিলাদ্রী নীলয় হত্যা, মিরপুরের স্কুল শিক্ষক হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তে তার নাম পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ, জুলহাজ মান্নান ও তনয় হত্যাকাণ্ডেও তার সরাসরি উপস্থিতি তদন্তে জানা যায়। তিনি এবিটি সদস্যদের সামরিক, আইটি ও কথিত জিহাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। জঙ্গি সিফাত ওরফে ইমরানের বাড়ি সিলেট অঞ্চলে। তিনি এবিটির সামরিক শাখার অন্যতম সদস্য। আজিজ সুপার মার্কেটে দীপন হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তে পাওয়া যায় যে— উক্ত হত্যাকাণ্ডে সে সার্বিক সমন্বয়কারী ও হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়টি জানা যায়। আবদুস সামাদ ওরফে সাদের বাড়ি কুমিল্লা অঞ্চলে। তিনি এবিটির সামরিক শাখার অন্যতম সদস্য। প্রকাশক আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তে পাওয়া যায় যে, উক্ত হত্যাচেষ্টায় তিনি সার্বিক সমন্বয়কারী ও হত্যাচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনসহ সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও তিনি এবিটি সদস্যদের জিহাদে উদ্বুদ্ধকরণের বিষয়ে বয়ান দিয়ে থাকেন।

সাজ্জাদ ওরফে শামসের বাড়ি ঢাকার পার্শ্ববর্তী কোনো জেলায়। তিনি সংগঠনের সামরিক শাখার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, পুরস্কার ঘোষিত এবিটি সদস্যদের মধ্যে যারা এখনো ধরা পড়েনি তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি খুব শিগগির তাদের ধরা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর