বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

সঙ্গীহীন জবা কুসুম চম্পা চামেলি

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

সঙ্গীহীন জবা কুসুম চম্পা চামেলি

রংপুর চিড়িয়াখানায় বছরের পর বছর ধরে নিঃসঙ্গ দিন কাটছে জবা, কুসুম, চম্পা ও চামেলি নামের চার নারী ঘড়িয়ালের। বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী না থাকায় এসব প্রাণীর প্রজনন হচ্ছে না। ফলে বিলুপ্তপ্রায় এসব প্রাণীর বংশবৃদ্ধিও হচ্ছে না।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ছয় মাস বয়সী চারটি নারী ঘড়িয়াল আনা হয়। এখন প্রত্যেকের বয়স সাড়ে ৭ বছর।  রংপুর চিড়িয়াখানার প্রাণী তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘড়িয়ালের বাচ্চাগুলোকে আনার পর ফুলের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হয় জবা, কুসুম, চম্পা ও চামেলি। তখন থেকেই ঘড়িয়ালগুলো সঙ্গীহীন জীবন কাটাচ্ছে। কোনো পুরুষ সঙ্গী না থাকায় তাদের বংশবৃদ্ধির সুযোগ হয়নি। সঙ্গী থাকলে এত দিন এরা কয়েকবার ডিম দিত। জানতে চাইলে ডেপুটি কিউরেটর ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, জলচর সরীসৃপ ঘড়িয়াল মিঠাপানির বিরল প্রজাতির প্রাণী। পদ্মা, যমুনা নদী  ও ব্রহ্মপুত্র নদে এক সময় প্রচুর ঘড়িয়ালের দেখা মিলত, এখন বিলুপ্তির পথে। একটি নারী ঘড়িয়াল একসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০টি ডিম দেয়। কচ্ছপ-কুমিরের মতোই ঘড়িয়ালও ডিম ফোটায়। ৬০ থেকে ৭৫ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বংশবৃদ্ধির জন্য পুরুষ সঙ্গী চেয়ে একাধিকবার প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর