প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের টাকা আমরা বিদেশ থেকে ফেরত এনেছি। এটা নিয়ে (১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাচার) তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। জনগণের সম্পদ যারা লুটে নিয়েছে নিশ্চয় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিশ্চয় আমরা তাদের পাচার করা টাকা ফেরত আনার পদক্ষেপ নেব। ইতিমধ্যে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। তদন্ত চলার স্বার্থে হয়তো সব আমি বলতে পারলাম না।
জাতীয় সংসদে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ফখরুল ইমাম বলেন, গ্লোবাল ইন্টিলেজেন্ট নেটওয়ার্ক (জিআইএন) প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু দুবাই নয়, অন্তত পক্ষে ১২টি দেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ আছে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সৌদি আরবে আহমদ আল আসাদের নামে আল আরাবা শপিং মলটির মালিকানা হলো বেগম জিয়ার। কাতারে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন ইকরা। এটির মালিকও বাংলাদেশি এবং এটার মালিকও উনি এবং আরফাত রহমানের নামে এই পুরা মালিকানা দেখা যায়। তাছাড়া উনার ভাতিজা তুহিনের নামে তিনটি বাড়ি আছে কানাডাতে। এ ছাড়া সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ ১৩ হাজার শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরের হোটেল মেরেনডির। ব্যারিস্টার আমিনুল হকের নামে লন্ডনে স্ট্যান্ডফোর্ড ও অলগেটে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদের নামেও অ্যাপার্টমেন্ট আছে। মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর নামে দুবাইতে আছে বিলাস বহুল অ্যাপার্টমেন্ট। সিঙ্গাপুরে মির্জা আব্বাস ও তার সন্তানদের নামে কিনেছেন দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের নামে সিঙ্গাপুরে রয়েছে বিলাস বহুল অ্যাপার্টমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যগুলো যখন বের হয়েছে তখন নিশ্চয় আমাদের কাছে আছে এবং এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এই তদন্তের মাধ্যমে এ তথ্য যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ কথা তো সবাই জানেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি করা, অর্থ পাচার করা এ ধরনের বহু অভিযোগ জনগণ সব সময় করেছে। এ জন্য খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের টাকা আমরা ফেরত এনেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে পাচার করা টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে।
