ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় এক কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। পছন্দ অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, ঈদগাহ, কবরস্থান, শ্মশান এবং খেলারমাঠ উন্নয়নে এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন সংসদ সদস্যরা। ‘সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্পে মোট ৬৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
গতকাল এই প্রকল্পসহ পাঁচ হাজার ১৮১ কোটি টাকার দশটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে সিটি করপোরেশন এলাকা বাদে প্রত্যেক উপজেলার জন্য এক কোটি টাকা করে দেশের ৪৯১টি উপজেলার জন্য ৪৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া পূর্ত কাজের জন্য থোক বরাদ্দ হিসেবে ১০৯ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। থোক বরাদ্দের অর্থ চাহিদা ও গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যয় করা হবে। নির্বাচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের অর্থ সরাসরি সংসদ সদস্যরা পাবেন না। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে। তবে সংসদ সদস্যদের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো : এক হাজার ২১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট বিভাগের ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ৯৮৬ কোটি টাকায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২ নম্বর পোল্ডারে ভাঙনপ্রবণ এলাকায় পুনর্বাসন প্রকল্প, ৯৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য প্রকল্প, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কে ১০৩ দশমিক ৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৩৯৮ কোটি টাকায় সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্প, ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ি ও শুভগাছা এলাকা রক্ষায় প্রকল্প এবং ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জে বহুতল সরকারি অফিস নির্মাণ প্রকল্প।
