কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিয়ে যাওয়া ত্রাণসামগ্রী গতকালও দিতে পারল না বিএনপি। ফের বাধা দিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২২ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নামিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উল্লিখিত ত্রাণসামগ্রী জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সেই ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি না রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের প্রস্তাব নাকচ করে দেয় বিএনপি। জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালেও কথা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি না পাওয়ায় আপাতত ত্রাণের প্যাকেট আনলোড করে ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিয়ে আসা ৯ হাজার প্যাকেট শেষ পর্যন্ত আর বিতরণ করতে পারছে না বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আসা ত্রাণ দলটি এখনো কক্সবাজার অবস্থান করছে। এদিকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপিকে ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হয়নি। ত্রাণ বিতরণে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভাণ্ডারে জমা দিতে বলা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে। কিন্তু তাতে তারা রাজি হয়নি। জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানান, ২২টি ট্রাকে প্রায় ৯ হাজার প্যাকেট ত্রাণ রয়েছে। যার মধ্যে চাল, ডাল, লবণ, তেল, পানি, চিনি ও বিস্কুট এবং মোম রয়েছে। এগুলো আপাতত দলীয় কার্যালয়ে রাখা হচ্ছে।