শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইসির সঙ্গে সংলাপ

সেনা মোতায়েন ও না ভোট চালুর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদ নির্বাচনের ১৫ দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সুপারিশ করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এদিকে সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ। এ ছাড়া তিন ধাপে সংসদ নির্বাচন করার পরামর্শও দিয়েছে দলটি। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে এ দুই দলের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। এ সময় অন্যান্য কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।

ভোটের আগে সেনা চায় কল্যাণ পার্টি : গতকাল সকালে ইসির সংলাপে অংশ নেয় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মতবিনিময় শেষে পার্টি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে আটটি ?সুপারিশ করা হয়েছে; চারটি বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে কোনো কারণেই হোক পলিটিসাইজড হয়ে গেছে। তাই তাদের ওপর জনগণ আস্থা রাখতে পারছে না যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণের বিশ্বাস হবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আট থেকে ১৫ দিন আগে আমরা সেনা মোতায়েনের জন্য কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি।’ দলের অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে : সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও কোনো জোটের প্রার্থীদের শরিক দলের যে কোনো প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া।

‘না’ ভোট চায় ইসলামী ফ্রন্ট : একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ। এ ছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে দলটি। গতকাল বিকালে দলটির মহাসচিব সৈয়দ বাহাদুর শাহর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপ করে। ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব জানান, সংলাপে দলের পক্ষ থেকে ১২ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে তিন ধাপে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবও রয়েছে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে বাহাদুর শাহ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ আসন করে তিন ধাপে ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে হবে। অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে : নির্বাচনী ব্যয় সংকোচন, কালো টাকার ব্যবহার রোধ ও সব নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশনের বহন, তফসিল ঘোষণার পর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করা।

৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। এরপর ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে সবার সঙ্গে সংলাপ শেষ করার কথা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর