সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
যুবকের চোখ উৎপাটন

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

আটকের পর মো. শাহজালাল নামে এক যুবকের চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনায় খালিশপুর থানার ওসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুলনা পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) কে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছে  আদালত। গতকাল দুপুরে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত এই আদেশ দেন। মামলায় খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খান, পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রাসেল, তাপস রায়, সৈয়দ সাহেব আলী, সেলিম মোল্লাসহ ৮ পুলিশ কর্মকর্তা, থানায় কর্তব্যরত ৩ আনসার সদস্য ও ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ায় আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৮ জুলাই রাতে খালিশপুর নয়াবাটি এলাকা থেকে ‘ছিনতাইকারী’ সন্দেহে আটক করা হয় শাহজালালকে। তিনি নয়াবাটি রেলবস্তি এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে নিজের ছোট শিশুর জন্য দুধ কিনতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। শাহজালালকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে থানায় তাদের কাছে উেকাচ দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় তার দুই চোখ উপড়ে ফেলে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর শাহজালালের মা রেনু বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, মামলার অভিযোগ তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। বাদী রেনু বেগম জানান, শাহজালালকে আটকের খবর পেয়ে থানায় গেলে দারোগা রাসেল দেড় লাখ টাকা দাবি করে। বলে টাকা না দেলে তোর ছেলেরে মাইরা ফেলামু, চোখ উডাইয়া ফেলামু। আমার ছেলে অন্যায় করলে বিচার হইব। কিন্তু পুলিশ ক্যান তার চোখ উঠাইল। আমি তার বিচার চাই। এদিকে পিবিআই, খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান জানান, অভিযোগ তদন্তে আদালতের আদেশ পাওয়ার পর তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে পিবিআই। এদিকে, ওসি নাসিম খান জানান, শাহজালালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ছিনতাই ঘটনায় আটক হওয়ার পর জনতা তার চোখ তুলে দিয়েছে। মামলায় সাজার হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের বিরুদ্ধে এই মামলা সাজানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর