বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

কলকাতা গিয়ে আইফোন খোয়ালেন এইচ টি ইমাম

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের অ্যাপল আইফোনটি খোয়া গেছে। রবিবার ঢাকা থেকে কলকাতায় আসার পথেই তার আইফোনটি খোয়া যায়। এ ব্যাপারে বেনিয়াপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের চ্যান্সেরি বি এম জামাল হোসেন। বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পদমর্যাদার কর্মকর্তা হওয়ার কারণে এইচ টি ইমামের ফোনে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। তবে এখনো স্পষ্ট নয়, কীভাবে তার ফোনটি খোয়া গেল। কারণ ঢাকা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই বাংলাদেশের সিনিয়র কূটনীতিক দ্বারা বেষ্টিত ছিলেন এইচ টি ইমাম।

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কোনো জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেনি : রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেনি— এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই সে দেশের সরকার রোহিঙ্গাদের নজর রাখছে এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। গতকাল কলকাতায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে ইমাম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর আমাদের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো নজর রাখছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন শুরু করে এটা নিশ্চিত করতে চাইছে যে, কোনো জঙ্গি সে দেশে প্রবেশ করেনি।’

সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের তরফে নেওয়া ‘জিরো টরালেন্স’ নীতি নিয়ে ইমাম বলেন ‘ভারত ও মিয়ানমারের মতো বন্ধুপ্রতিম ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতা সংগঠিত করতে আমরা কখনই কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেব না’।

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)-এর কোনো রোহিঙ্গা জঙ্গি বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করার কোনো খবর আমরা পেলেই সঙ্গে সঙ্গেই সরকার তার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়ে দেন এইচ টি ইমাম। যদিও রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে বলে কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে গতকাল সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়র আলমও রোহিঙ্গা সংকটকে মানবিকতা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বলে মন্তব্য করেন। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা-এর সঙ্গে বিদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর যোগসাজশের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছে। তবে গত আগস্টের শেষে নতুন করে সহিংসতা তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী গত ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। স্বাভাবিক এই সংকট নিরসনে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কূটনৈতিক প্রয়াস শুরু করেছে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর