বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রংতুলির আঁচড়ের অপেক্ষায় দেবী মহামায়া

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রংতুলির আঁচড়ের অপেক্ষায় দেবী মহামায়া

রাঙামাটির পূজামণ্ডপগুলোয় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। তাই রংতুলির আঁচড়ের অপেক্ষায় রাঙামাটির দেবী মহামায়া। এবারে সবচেয়ে শৈল্পিক ও পাহাড়ের ঐতিহ্য নিয়ে প্রতিমা তৈরি হয়েছে শহরের বিভিন্ন মন্দিরে। এবার দুর্গোৎসবে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী তাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ফুঠে উঠবে। তাই মণ্ডপ ও প্রতিমাগুলোকে তেমনিভাবে সাজানো হয়েছে। এবার ধাপে ধাপে দেবী দুর্গাকে তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তুলবেন মৃিশল্পীরা। প্রতিটি প্রতিমার শরীর থেকে মুকুট পর্যন্ত হাতের শৈল্পিক কারুকাজ। কেবল রং আর তুলির আঁচড়ে চলছে সাজসজ্জার কাজ। রাঙামাটির বিভিন্ন মন্দিরে ও পাড়ায় পাড়ায় দুর্গোৎসবে মেতেছেন সবাই। প্রায় শেষ পর্যায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃিশল্পীরা। রাঙামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ঝিনুক ত্রিপুরা জানান, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এবার দুর্গোৎসবে প্রতিমাগুলোকে বৈচিত্র্যময় করে সাজানো হবে; যাতে পাহাড়ি অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ফুটে উঠতে পারে। তাই এবার দুর্গোৎসব আকর্ষণীয় ও জমজমাট হবে। জানা গেছে, এবার রাঙামাটি শহরসহ জেলার মোট ৪০ পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি এখন শেষ। এবার রাঙামাটি সদরে ১৪, কাপ্তাইয়ে ৭, রাজস্থলীতে ৩, কাউখালীতে ৪, নানিয়ারচরে ২, জুরাছড়িতে ১, বিলাইছড়িতে ১, বাঘাইছড়িতে ৪, লংগদুতে ২ ও বরকলে ২টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাঙামাটি পূজা উদ্যাপন পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, এবার শহরসহ জেলায় ৪০ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হযেছে। সর্বজনীন উৎসবের অংশে ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর মহা অষ্টমী, কুমারী ও সন্ধিপূজা, ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী ও ৩০ সেপ্টেম্বর মহাদশমী। ওই দিন বিজয়া শোভাযাত্রা ও কাপ্তাই লেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সর্বজনীন কর্মসূচির অংশে শেষ হবে বর্ণিল শারদীয় দুর্গোৎসব। এদিকে শহরসহ জেলার প্রতিটি মণ্ডপে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অমর কুমার দে জানান, ‘শহরসহ জেলার প্রতিটি মণ্ডপে পূজার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে। মণ্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে নিজস্ব ঢং ও রঙে। আমরা সব মণ্ডপে শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদ্যাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সুষ্ঠু ও সাড়ম্বরপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব আয়োজনে প্রতিটি মণ্ডপে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।’

সর্বশেষ খবর