বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রার্থী নিয়ে ভিন্ন সমস্যায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

প্রার্থী নিয়ে ভিন্ন সমস্যায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা। এ আসনে আওয়ামী লীগের নিজেদের পাশপাশি জোটের শরিক দলেরও রয়েছে শক্তিশালী প্রার্থী। আবার বিএনপির জোটগত প্রার্থী নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও নিজ দলেই একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংকটে পড়বে দুই জোট। এরই মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপর হয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৃণমূলে জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবং দলীয় উচ্চপর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তারা নানামুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন উপলক্ষে রঙিন পোস্টার এবং ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে ভোটারদের দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করছেন তারা। জানা যায়, বোয়ালখালী এবং নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ভিন্ন সমস্যা রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে এ আসনে। পাশাপাশি জোটের শরিক জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি  মঈনউদ্দিন খান বাদল এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগ জোটগত নির্বাচন করলে নানা সমীকরণে ফের এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন মঈনউদ্দিন খান বাদল। তবে বর্তমান এ সংসদ সদস্যকে টেক্কা দিয়ে মনোনয়ন পেতে চাইছেন আওয়ামী লীগের দুই শক্তিশালী প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম। মঈনউদ্দিন খান বাদল মনোনয়ন না পেলে এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন আওয়ামী লীগের এ দুই নেতার একজন। তাই মনোনয়ন যুদ্ধে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে বাদলকে। জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ সালাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আছে। বাকিটা নির্ভর করবে দলের উচ্চপর্যায়ের ওপর। দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে জয়ী হতে পারব—এমন বিশ্বাস রয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের জোটগত সমীকরণ থাকলেও বিএনপির চিত্র অনেকটা ভিন্ন। এ আসনে বিএনপি জোটের শরিকদের কোনো শক্তিশালী প্রার্থী নেই। তবে দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকায় অনেকটা বেকায়দায় বিএনপি। এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক পরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম. মোরশেদ খান এবং মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। এ আসন থেকে বিগত সময়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন মোরশেদ খান। রাজনীতির মাঠে মোরশেদ খান-আবু সুফিয়ান ‘গুরু-শিষ্য’ হিসেবে পরিচিতি পেলেও নানা কারণে দুই নেতা বর্তমানে পৃথক মেরুতে অবস্থান করছেন। বয়সের কারণে শেষ মুহূর্তে মোরশেদ খান মনোনয়ন না পেলে আবু সুফিয়ানের ভাগ্য খুলতে পারে। এ ছাড়া মনোনয়ন যুদ্ধে নামবেন সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃৃত হলেও মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান এরশাদ উল্লাহ। তিনি গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এ আসন থেকে। ওই নির্বাচনে মঈনউদ্দিন খান বাদলের কাছে পরাজিত হন এরশাদ উল্লাহ। এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে কাজ করছি। এবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে চাই।

সর্বশেষ খবর