শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভুল করলেই কপাল পুড়তে পারে সাবেক দুই মন্ত্রীর

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

ভুল করলেই কপাল পুড়তে পারে সাবেক দুই মন্ত্রীর

চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-ডবলমুরিং) আসনে দুই ভিআইপি প্রার্থী থাকায় আসনটির গুরুত্ব অনেক। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী  হিসেবে আছেন সাবেক মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। আবার তাদের সঙ্গে রয়েছেন সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। আসনটিতে বিএনপির জোটগত সমস্যা এবং আওয়ামী লীগের আন্তকলহের কারণে পাল্টে যেতে পারে মনোনয়ন চিত্র। এ দুই সাবেক মন্ত্রী ভুল করলেই হিসেব পাল্টে ভাগ্য খুলতে পারে অন্য কারও।

চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-ডবলমুরিং) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আফসারুল আমিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এলাকাবাসী বিগত সময়ে আমার ওপর আস্থা রেখেছে। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতেও তারা আমার ওপর আস্থা রাখবে। দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হতে পারব।

এ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমার মাঠ গোছানো রয়েছে। স্থানীয় লোকজন পরিবর্তন চায়। তাই নির্বাচন হলে জয়ী হতে পারব এ বিশ্বাস আমার রয়েছে।

আওয়ামী লীগে ফিরে এ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে বিএনপি সমর্থিত সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের। আগামী নির্বাচন নিয়ে তার ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, গত নির্বাচনের পর নিষ্ক্রিয় থাকলেও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছি। আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড যদি আমাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয় তবে নির্বাচন করব। এ আসন থেকে বিগত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আফসারুল আমিন। তাই এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে তাকে মনোনয়ন যুদ্ধে দিতে হবে অগ্নি-পরীক্ষা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দূরত্বের কারণে বিকল্প কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন যুদ্ধে নামাতে চাইছেন সাবেক এ মেয়রের সমর্থকরা। এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে চিন্তা করা হচ্ছে মহিউদ্দিন চৌধুরীর শিষ্য হিসেবে পরিচিত বিএনপি সমর্থিত সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমকে। বিগত দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন লাভ করে নির্বাচন করে মনজুর। শেষ বারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর মনজুর পুরনো দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার গুঞ্জন ওঠে চট্টগ্রামে। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান না করলেও  জাতীয় শোক দিবসসহ আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচি তিনি পালন করেছেন নিজ উদ্যোগে। গুঞ্জন রয়েছে শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগে যোগদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে এ আসন থেকে মনোনয়ন যুদ্ধে নামতে পারেন মনজুর। আবার মহিউদ্দিন-আফসার মনোনয়ন যুদ্ধে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতে পারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এম এ আজিজের ছেলে সাইফুদ্দীন খালেদ বাহারের। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নানা জটিলতা থাকলেও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ছাড়া দলীয় কোনো শক্ত প্রার্থী নেই। তবে জোটগত সমীকরণে মনোনয়ন নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী এ আসনে নিজের প্রার্থী দেবে। বিভিন্ন উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। তাই এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী নোমানকে পড়তে হবে চ্যালেঞ্জের মুখে।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান জোটগত সমীকরণ নিয়ে বলেন, জোটের শরিক হিসেবে জামায়াত এ আসন চাইতে পারে। কিন্তু সব কিছু নির্ভর করবে জোট নেত্রীর ওপর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর