রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঘোষিত যুবলীগ কমিটি স্থগিত

কামরাঙ্গীরচরে নেতা-কর্মীদের রোষানলে খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে যুবলীগের ‘পকেট’ কমিটি ঘোষণা করতে গিয়ে নেতা-কর্মীদের রোষানলে তড়িঘড়ি করে মঞ্চ ত্যাগ করলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের চরম বাধার মুখে ঘোষণা করে স্থগিত করা হয়েছে যুবলীগ দক্ষিণের অধীনে তিনটি ওয়ার্ড কমিটি। গতকাল দুপুরে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের হাসপাতাল মাঠে (বালুর মাঠ) কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।

উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বেলা ১টার দিকে যুবলীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। তিনটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ আলম কিরণকে সভাপতি ও মোশাররফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। তারা দুজনই খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজন। মন্ত্রীর পছন্দেই তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। স্থানীয়রা এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত যুবলীগ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মানি না, মানব না বলে চিৎকার শুরু করে। মঞ্চে থাকা যুবলীগ নেতারা স্থানীয় কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং বলতে থাকেন মন্ত্রীর পছন্দেই নাম প্রকাশ করা হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মন্ত্রী ভুয়া, মন্ত্রী ভুয়া বলে স্লোগান দেন। মন্ত্রীর পকেট কমিটি মানি না, মানব না। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই তোদের আমি পুলিশে দেব, তোদের পুলিশে দেব’। এরপর মঞ্চ ছেড়ে চলে আসেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে কমিটি স্থগিত করে চলে আসেন যুবলীগের শীর্ষ নেতারা।  সূত্রমতে, কামরাঙ্গীরচরের স্থানীয় এমপি হওয়ার সুবাদে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তার পছন্দমতো ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করছেন। এর আগেও ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন তিনি। ওই কমিটি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়ে করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় গতকাল যুবলীগের কমিটি গঠন করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উপস্থিত নেতা-কর্মীর বাধার মুখে তিনি ফিরে আসেন।  এ প্রসঙ্গে গতকাল খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু তারা ফোন ধরেননি।

সর্বশেষ খবর