ফরিদপুরের সালথায় মামলা প্রত্যাহার না করায় ধর্ষণের চার মাস পর ১৭ বছরের এক কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কিশোরীর বাবা বলেন, ১৫ মে রাতে তার মেয়েকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে কয়েক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৬ মে ছয়জনকে আসামি করে সালথা থানায় একটি মামলা করেন। তিনি বলেন, আসামিরা আমাকে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। শনিবার রাতে আমার বাড়িতে এসে মামলার প্রধান আসামি দিপু মোল্লা তার সহযোগী মাহফুজ মিয়া, মারকুজ মিয়া, ফারুক মিয়া ও মিলন মিয়াসহ ১৫-১৬ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মেয়েকে কুপিয়ে জখম করে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, ওই কিশোরী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মাথা, হাত ও পিঠে অন্তত ১০টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা বাড়িতে এসে ওই কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করে। ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে আসামিরা ধর্ষিতাকে কুপিয়ে জখম করেছে। ধর্ষণ মামলার এক আসামি মিন্টু মোল্লাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  তবে দিপু মোল্লাসহ বাকি আসামিরা পালাতক। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আমিনুল হক বলেন, ধর্ষণ ঘটনার আসামিরাই কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দিপু মোল্লাসহ আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।