শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইউজিসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি ক্ষমতা দিতে হবে

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান

ইউজিসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি ক্ষমতা দিতে হবে

 বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা আছে। কেউ সেই নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটালে বিশ্ববিদ্যালয়  মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তাদের সতর্ক করে, প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। কিন্তু আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা এই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়নি। এই ফাঁক গলিয়ে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মানহীন শিক্ষাবাণিজ্য বন্ধ করতে ইউজিসিকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নীতিমালায় নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বিভাগ সবকিছুই নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। কিন্তু অসাধারণ নীতিমালা থাকলেও এর প্রায়োগিক দিক খুব দুর্বল। মনিটরিং সেল থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না ব্যবসা। ইউজিসি এসব দুর্নীতি, অনিয়ম পেলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রায়ই সুপারিশ করে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রায়ই দেখি ইউজিসি অনিয়মে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর মধ্যেই বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশও করেছে। কিন্তু ইউজিসির ক্ষমতা এই সুপারিশ করা পর্যন্তই। এর বেশি এরা কিছুই করতে পারে না। আর এ সুযোগে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তথা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেমেছে ব্যবসায়। মানহীন শিক্ষাবাণিজ্য করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এ সমস্যার সমাধানে ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। ইউজিসি নীতিমালা অনুযায়ী তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। তাই এ প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতা দিতে হবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবে, ইউজিসি তাদের বিরুদ্ধে শুধু সুপারিশ নয়, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। ইউজিসিকে যদি সেই ক্ষমতা প্রদান করা যায় তাহলে তারা শক্ত হাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারবে।’

 

সর্বশেষ খবর