মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিশ্ববিদ্যালয়কে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ভাবতে হবে

অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী


বিশ্ববিদ্যালয়কে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ভাবতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শিক্ষায় অর্থ বিনিয়োগ করে শিল্প খাতে বিনিয়োগের মতো লাভ খোঁজেন। কিন্তু শিক্ষা কোনো ব্যবসা করার বিষয় নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জেনে তারা বিনিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন। তাই এই প্রতিষ্ঠানে লাভ খোঁজার প্রবণতা তাদের পরিহার করতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১৫-২০টি প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু বাকিগুলোর শিক্ষার মান এবং পড়ার পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ। এজন্য অনেক প্রতিষ্ঠান ঝরে পড়েছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাওয়ার পথে। শিক্ষার্থীরা যখন বুঝতে পারবে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নেই, সনদপত্রের দাম নেই, তখন আর পড়তে আসবে না। নতুন আরও বেশ কিছু অনুমোদন পেয়েছে। সত্যি কথা বলতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেই। এজন্য সরকার যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা বাড়ায় তাহলে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে যে নীতিমালা আছে এবং ইউজিসি যে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে তা সন্তোষজনক। কিন্তু ইউজিসিকে মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। ইউজিসিকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে আইনি ক্ষমতা দেওয়া উচিত। যারা নীতিমালার বাইরে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে, ইউজিসি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে পারবে। অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, প্রাইভেট বলেই যে সেখানে সরকারের কোনো সহযোগিতা থাকবে না তা নয়। যারা নিজস্ব ক্যাম্পাস করতে পারছে না, সরকার তাদের ঢাকার আশপাশে ফাঁকা জায়গায় কিছুটা কম দামে জমির ব্যবস্থা করে দিতে পারে। শিক্ষার স্বার্থে সরকারকে এ বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি ভালো মানের পড়াশোনা হয়, তাহলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা উপকৃত হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নীতিমালার মধ্যে নিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। আর ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের মানসিকতা পরিবর্তন করে শিক্ষাকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাবতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর