রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

দরপত্র ছাড়া চীন থেকে সরাসরি কেনা হচ্ছে আটটি জাহাজ

মানিক মুনতাসির

দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চীন থেকে আটটি সমুদ্রগামী জাহাজ কেনা হচ্ছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) পুরনো বহরের সঙ্গে এই আটটি নতুন জাহাজ যোগ হতে যাচ্ছে। বর্তমানে ৩০ বছরের পুরনো মাত্র দুটি সমুদ্রগামী জাহাজ সচল রয়েছে; যা নৌপথে মালামাল পরিবহনের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রায়ই নৌপথে মালামাল ও জ্বালানি তেল পরিবহনে সমস্যায় পড়তে হয় সরকারকে। ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন আটটি জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসব জাহাজ চীনের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনা হবে। এসব জাহাজ কেনার প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রস্তাব অনুযায়ী চারটি জাহাজের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার ডেড ওয়েট টন। সেই সঙ্গে দুটি জাহাজে ৩০ হাজার টন তেল ট্যাঙ্কার যুক্ত রয়েছে। এসব জাহাজ কিনতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা; যা চীনের জাতীয় আমদানি ও রপ্তানি যন্ত্রপাতি করপোরেশনের (সিএমসি) কাছ থেকে কেনা হবে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) কোম্পানি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নৌপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ পর্যন্ত মোট ৩৮টি জাহাজ কিনেছে। বর্তমানে সমুদ্রপথে চলাচলের উপযোগী জাহাজ রয়েছে মাত্র দুটি; যা দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা দুরূহ হয়ে পড়েছে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাড়া করা জাহাজে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে বিএসসি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আটটি জাহাজের মধ্যে তিনটি অয়েল ট্যাঙ্কার এবং তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার। অন্য দুটি পণ্যবাহী। প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজগুলো চীনের জিয়াংশু প্রদেশের ওয়াই জেড জে শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন। জাহাজগুলোর প্লেট কাটিং (কিল লেয়িং) সম্পন্ন হয়েছে।

 ইতিমধ্যে এসব জাহাজ সরেজমিন পরিদর্শন করে এসেছে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। জাহাজ আটটি কিনতে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা ঋণ দেবে চীন সরকার। বাকি ৩৯৫ কোটি টাকার জোগান দেওয়া হবে বিএসসির নিজস্ব অর্থায়ন থেকে।

সর্বশেষ খবর