বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইভ টিজিংয়ে বাধা যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইভ টিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় হাবিবুর রহমান নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহত হাবিবুর রহমানের ভাই কামাল উদ্দিন। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে  জানা গেছে, হাবিবুর রহমান জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের কাকৈরখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ সোনাপুর গ্রামের আলী এরশাদের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজাদ, জিদু মিয়ার ছেলে মোতালেব হোসেন, আলী আকাব্বরের ছেলে মো. ইয়াছিন, কোদালিয়া গ্রামের মো. জয়নালের ছেলে ছালেহ আহমেদ সুবজ স্থানীয় মেয়েদের ইভ টিজিং করছিল। হাবিব বাধা দেওয়ায় এ নিয়ে তারা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার পর হাবিব তার বন্ধু এমদাদুল হক জুয়েল ও নবী হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চৌধুরী বাজার যাচ্ছিলেন। পথে নারানকরা দক্ষিণপাড়ায় রাস্তার ওপর যুবলীগ নেতা আজাদের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাবিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় হাবিবের সঙ্গে থাকা জুয়েল ও নবীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত হাবিবকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আজাদ, মোতালেব, ইয়াছিন ও ছালেহ আহমদ সবুজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভরঞ্জন চাকমা জানান, নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি ছালেহ আহমদ সবুজকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর