পাবনার বেড়ায় পিতাকে হত্যার পর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত হাসনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বেড়ার দাসপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম শেখের বাড়িতে জনৈক আসান শেখ সপরিবারে বসবাস করতেন। মোয়াজ্জেম শেখের বড় মেয়েকে আসান শেখের ছেলে সবুজ শেখ বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত।
এ নিয়ে গত রবিবার সবুজ মেয়েটির বাবা মোয়াজ্জেম শেখকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকা দাবি করে সবুজ শেখ জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে মোয়াজ্জেম শেখ বাধা দেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সবুজ মোয়াজ্জেম শেখের বুকে-পিঠে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এতে মোয়াজ্জেম ঘটনাস্থলেই মারা যান। মোয়াজ্জেম শেখকে তার প্রতিবেশী হাসনা বেগম বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে সবুজ। এ সময় হাসনা বেগমও মারাত্মক আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে সবুজ শেখ মেয়েটির গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে পুলিশ তাদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো খোঁজ পায়নি। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর শেখ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বেড়া থানায় হত্যা ও অপহরণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সবুজের বাবা আসান শেখ, চাচা ওমর শেখ, আমুদ শেখ ও কমর শেখ।