শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিভক্তি, স্বস্তিতে জাতীয় পার্টি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিভক্তি, স্বস্তিতে জাতীয় পার্টি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। দলটির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশীর কারণে স্থানীয়ভাবে দল তিন বলয়ে বিভক্ত বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান। বিএনপিতে তুলনামূলকভাবে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা কম থাকলেও দুই প্রার্থীর কারণে নেতা-কর্মীরা দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে আছেন। তবে জাতীয় পার্টি ইতিমধ্যে প্রার্থীর নাম নিশ্চিত করায় সেখানে প্রতিযোগিতা নেই। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটাররা মনে করেন। কারণ এখানে বরাবরই বিএনপির ভোট তুলনামূলকভাবে কম। নির্বাচন সামনে রেখে রমজানে ইফতার পার্টি, দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শন ও সহায়তা, বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ নিজ প্রার্থিতার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ ছাড়া গত এক বছর থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তারা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলের ভিতরেও তৈরি করছেন নিজস্ব বলয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ঢাকায় যাতায়াতও বেড়ে গেছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যাদের তৎপরতা রয়েছে তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। তার পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ শামস উল আলম হিরু, বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম স্পিকার শাহ আবদুল হামিদের নাতি ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ সারোয়ার কবীর। এই তিনজনকে ঘিরে দলে বিভক্তি রয়েছে বলে নেতা-কর্মীরা জানান। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সহসভাপতি ফরহাদ আবদুল্লাহ হারুন বাবলু দলের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবু, জেলা জিয়া পরিষদের সদস্যসচিব খন্দকার আহাদ আহমেদের তৎপরতা রয়েছে। দলের বর্তমান জেলা সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলয়ের নেতা হিসেবে তরুণ নেতা আহাদ আহমেদ পরিচিত। জাতীয় পার্টি থেকে দলের জেলা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রশীদ সরকারের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই দলে মনোনয়ন নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা নেই বলে দলের সাধারণ সম্পাদক রাগীব হাসান চৌধুরী হাবুল জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচনে গেলে এ আসনে দলীয় প্রার্থী হবেন জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ।

সর্বশেষ খবর