শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কোন্দলে অস্বস্তিতে বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

মাজেদ রহমান, জয়পুরহাট

কোন্দলে অস্বস্তিতে বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক এবং বিএনপির দুজন প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান এবং ঈদ এবং পূজার মতো ধর্মীয় উৎসবকে উপলক্ষ করে পোস্টারে শুভেচ্ছা দিয়ে জানান দিচ্ছেন প্রার্থীরা। গত দশম সংসদে জয়পুরহাট-১ আসন অর্থাৎ জাতীয় সংসদীয় ৩৪ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল আলম দুদু। এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে এমন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তবে এ আসন থেকে এবার আওয়ামী লীগের একধিক নেতা-কর্মী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, পাঁচবিবি পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক তৌফিদুল ইসলাম বুলবুল আহমেদ। তিনি এলাকায় এবং কেন্দ্রে সমানভাবে তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও দোগাছী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে প্রার্থী হিসেবে শুভেচ্ছা দিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ খাজা শামছুল ইসলাম গতবারের মতো এবারেও  মনোনয়ন চাইবেন। জয়পুরহাটে-১ আসনের আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বিগত তিন বারের সংসদ সদস্য যুদ্ধাপরাধে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত প্রয়াত বিএনপি নেতা আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম। তিনি ইতিমেধ্যে গণসংযোগসহ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। দলীয় কোন্দলের কারণে জেলা বিএনপিতে তার স্থান না হলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হিসেবে তিনি সংসদীয় আসনের জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি উপজেলায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে এলাকায় তাকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। তবে এ আসনের বিএনপির ত্যাগী নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোজাহার আলী প্রধান মনোনয়ন চাইবেন। দলীয় চেয়ারপারসনের কাছে তার অবস্থান বেশ ভালো। বিএনপি এলাকা হিসেবে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে স্থানীয়ভাবে বড় দুুদল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অস্বস্তিতে ভুগছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টি থেকে প্রায় নিশ্চিত মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আ স ম  তিতাস মোস্তফা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

 জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব এ এলাকায় বেশি থাকলেও তারা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী, এ ক্ষেত্রে জোটের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তারা।

সর্বশেষ খবর