সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভবন ভাঙতে শেষবারের মতো সাত মাস সময় পেল বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে শেষবারের মতো সাত মাস সময় দিয়েছে আপিল বিভাগ। বিজিএমইএর সময় আবেদনের শুনানি করে গতকাল দায়িত্বপাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালত বলেছে এটাই শেষ সুযোগ। এর মধ্যে যা করার করতে হবে। এরপরে আর সময় দেওয়া হবে না।

বিজিএমইএর পক্ষে আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী আদালতে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করলে ১২ মার্চ বিজিএমইএকে ছয় মাস সময় দেয় আপিল বিভাগ। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া        সময়সীমার মধ্যে ভবন ভাঙতে পারেনি বিজিএমইএ। বরং ২৩ আগস্ট আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে তৈরি পোশাক মালিকদের এই সংগঠনটি। ১১ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। ৫ মার্চ আপিল বিভাগ ভবন রক্ষায় বিজিএমইএর রিভিউ আবেদন খারিজ করে। ফলে ১৬ তলা ওই ভবনটি ভাঙতে সব আইনি বাধা দূর হয়। ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগ ওই রায় দেয়। নির্মাণ শেষে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালে ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের অভিযোগ ছিল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে এবং উন্মুক্ত স্থান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ লঙ্ঘন করে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে বেগুনবাড়ি খালের একাংশ ভরাট করে ওই ভবন তোলা হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের সময় অনুমোদিত নকশাও অনুসরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছিল রাজউক। বিষয়টি নজরে এলে ২০১০ সালের ৩ অক্টোবর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালে বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাই কোর্ট।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর